• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীত টিসিবির পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ভোক্তারা কিশোরগঞ্জে ফাজিল মাদ্রাসায় ভুয়া কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ সাভারে ৯৪ বোতল ফেনসিডিল সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার মিরপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জহিরুল ইসলাম-সম্পাদক মারুক হায়দার দেশজুড়ে অবৈধ আবাসন প্রকল্পের ছড়াছড়ি বিতর্কিত ঢাকা বোট ক্লাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান সাংবাদিককে হুমকি, অফিসে দাপট ; দুলালের খুঁটির জোর কোথায়? সাভারে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে খাস সম্পত্তির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ! ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অবর্তমানে বিড়ম্বনায় রাজধানীবাসী

নিয়ামুল হাসান নিয়াজ
Update : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিয়ামুল হাসান নিয়াজ

দেশ গণতান্ত্রিক হোক কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক কোন সমাজই পুলিশ ছাড়া চলতে পারে না। ইতিহাসের পাতায়, তাই কোন না কোন রূপে পুলিশ সংগঠনের অস্তিত্ব মিলবেই। প্রাচীনকালে সুসংগটিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলনের পূর্বে মানুষ গোত্রবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। প্রতিটি গোত্রই তাদের নিজেদের রক্ষার জন্য নিজেদের মধ্য থেকে পালাক্রমে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করত। ইতিহাসে এই ব্যবস্থা গোত্রীয় পুলিশিং বলে পরিচিত ছিল। এই সময় লিখিত কোন আইনের অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু লিখিত আইনের প্রচলনের সাথে সাথে এই আইন বাস্তবায়ন বা প্রয়োগের জন্য বিধিবদ্ধ পুলিশ সংস্থারও প্রয়োজন দেখা দেয়।

পুলিশের অনুপস্থিতিতে জীবন-জীবিকার সন্ধানে রাজধানী আসা হাজার হাজার মানুষ বিড়ম্বনায় পরছেন। প্রায় দুই কোটি মানুষের এ ঢাকা শহরের যেমন রয়েছে নানা সৌন্দর্য আর গল্প তেমনি এর উল্টো পিঠে ভয়ও দেখছেন অনেকে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ঘনবসতির এ শহরে পদে পদে ফাঁদ পেতে রেখেছেন সংঘবদ্ধ অপরাধীরা। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করে এসব অপরাধী চক্রের ফাঁদে প্রতিনিয়ত সর্বস্ব হারাচ্ছেন কেউ কেউ। চলতি পথে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার, ছিনতাইকারী, থুথু পার্টি, ধাক্কা পার্টি, সালাম পার্টি, টানা পার্টিসহ বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন স্টাইলে ওঁৎ পেতে আছে অপরাধীরা। অনেক সময় ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও।

টানা পার্টি-ছিনতাই আতঙ্ক

প্রতিনিয়ত রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টানা পার্টির খপ্পরে পড়ে মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ, স্বর্ণলঙ্কারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিসপত্র হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়লেও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য কমেনি। রাজধানীতে পথেঘাটে ছোঁ মেরে ব্যাগ, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ৮০ শতাংশ সদস্যই মাদকাসক্ত। পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ চক্রের পাশাপাশি খণ্ডকালীন অপরাধীরা ছিনতাইয়ে জড়াচ্ছে। মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা এ পথ বেছে নিচ্ছে।

হিজড়া বিড়ম্বনা

ব্যস্ত রাজধানীর অনেক এলাকায় চোখে পড়ে হিজড়াদের গতিবিধি। অনেক ক্ষেত্রেই অসহায় অবস্থায় পড়তে হয় পথচারীদের। হিজড়ারা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নামে বিভক্ত হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবর্তমানে ইদানীং তাদের মাত্রাতিরিক্ত অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা, হিজড়াদের বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না, যে কারণে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।

বিভিন্ন ওভারবিব্রজের নিচে, স্কুল-কলেজের সামনে, রাস্তার পাশে দোকানে, ফুটপাতের দোকানে জোর করে তারা টাকা আদায় করছেন। বাসাবাড়ি গিয়েও হিজড়ারা চাঁদা চাচ্ছেন, টাকা না দিলে হুমকিসহ নানা ধরনের অশ্লীল ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি করে এক ধরনের অস্বস্তিকর চাপ সৃষ্টি করে টাকা-পয়সা দিতে বাধ্য করছেন তারা। হিজড়াদের এহেন আচারনের বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছেন, হিজড়াদের টাকা তোলার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। আগে মানুষ যা দিত, তা নিয়েই খুশি থাকতেন হিজড়ারা। কিন্তু ইদানীং তাদের আচরণ বদলে গেছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে তারা। হিজড়াদের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হিজড়াদের কয়েকজন দাবী করছেন, রাজধানীতে অনেক নকল হিজড়া আছে, যাদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিনা পরিশ্রমে অর্থ উপার্জন করা।

বিভিন্ন রোডের কয়েকজন যাত্রী জানান, ট্রাফিক সংকেতে যানবাহন থামার পর হিজড়ারা সামনে এসে দাঁড়ালে যাত্রীদের কিছু করার থাকে না। রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে দলবেঁধে ওঁৎ পেতে থাকে হিজড়ার দল। রাজধানীর গুলশান, উত্তরা, শাহবাগ সিগন্যাল, পান্থপথ সিগন্যাল, বিজয় সরণি সিগন্যাল, হাতিরঝিল (এফডিসি) সিগন্যালে হিজড়ারা প্রকাশ্যে টাকা আদায় করে।

তারা আরও জানান, ঢাকার যে কোনো প্রান্তে কোনো বাড়িতে নবজাতকের আগমনী বার্তা পেলেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন হিজড়ারা। নিজস্ব ভঙ্গির নাচ-গানের পর বকশিশের দাবি। তাদের বঞ্চনা। পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। গৃহস্থ তখন রীতিমতো বিব্রত। পুরোপুরি জিম্মি হয়ে পড়েন তারা। পরিশেষে নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়েও আর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। এজন্য কোনো বাসায় বাচ্চা হলে বাবা-মা যতটা পারেন খবরটা গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কেননা জানাজানি হলে হিজড়াদের হাত থেকে রেহাই নেই। তবে হিজড়া নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, কেউ তাদের কাজ দিতে চায় না। মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়েই চলতে হয়।

নিশিকন্যাদের ফাঁদ: কলগার্ল রূপী সুন্দরী নিশিকন্যাদের ফাঁদে পড়ে নানা কৌশলে নিয়মিত মাশুল দিচ্ছে রাজধানী নানা পেশার মানুষ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, বলধাগার্ডেন, শাহবাগ শিশু পার্ক, ইন্দিরা রোডের ফুটপাত, গ্রিন রোড, কাকরাইল মোড়, মতিঝিল এলাকায় শিকার ধরার জন্য ঘুরে বেড়ায় এসব ভাসমান সুন্দরী কলগার্ল। বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তারা শিকারের আশায় বসে থাকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাতের সুন্দরীদের বড় একটি অংশ চিহ্নিত দুর্ধর্ষ অপরাধীর হয়ে কাজ করে।

বিভিন্ন ঘটনা থেকে জানা যায়, সুন্দরী মহিলারা কুকর্মের প্রস্তাব দিয়ে প্রথমে খদ্দের খোঁজেন। তবে সুবিধাজনক ফাঁকা জায়গায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার দলের অপরাধীরা সুন্দরীসহ পুরুষ সঙ্গীকে ঘিরে ফেলে। এরপর পুরুষটির কাছ থেকে মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি ও মানিব্যাগসহ মূল্যবান যা কিছু থাকে তার সবাই ছিনিয়ে নেয়।

জানা গেছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এটিএম বুথের নৈশ প্রহরীদের সামনে টোপ হিসেবে সুন্দরী ঠেলে দেয়। যে কয়েকটি এটিএম বুথে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিটির নেপথ্যে রয়েছে সুন্দরী কলগার্লের উপস্থিতি। নৈশ প্রহরীকে অসামাজিক কাজে প্রলুব্ধ করে কলগার্ল রূপী সুন্দরী। এরপরই সংঘটিত হয় অপরাধ। ডাকাতি-ছিনতাই মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সুন্দরী কলগার্ল মানেই শুধু কলগার্ল নয়। আড়ালে এদের অনেকেই রাতে ভয়ঙ্কর রূপে ধরা দেয়। অপরাধ চক্রের পুরুষ সদস্যরা কলগার্লের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। কলগার্ল রূপী সুন্দরী এবং তাদের দলের পুরুষ সদস্যদের থেকে সাবধান না থাকলে যে কোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে।

মজমা বসিয়ে প্রতারণা: রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোয় প্রতারক চক্র সক্রিয়। প্রতারকরা বিভিন্ন জাদু, ভেল্কিবাজি আর জিনের দোহাই দিয়ে মজমা বসিয়ে বিক্রি করছে ক্ষতিকর ওষুধ, মালিশ, নামসর্বস্ব পাথরসহ অনেক কিছু। তাদের প্রতারণায় সর্বস্ব হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মজমা জমিয়ে পরে ওষুধ বিক্রি, তাবিজ-কবচ বিক্রির বিষয়টি অনেক পুরনো। বিভিন্ন রকম জাদু খেলা বা ওষুধ বিক্রির মজমাগুলো সাধারণত এমন জায়গায় বসানো হয় যেখানে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের আনাগোনা বেশি।

রাজধানীসহ দেশের শহর-বন্দরে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, বিভিন্ন মাজারের সামনে এসব মজমা বেশি দেখা যায়। এসব এলাকায় সাধারণত সদ্য শহরে আসা, অর্ধশিক্ষিত লোকের আনাগোনা বেশি থাকে বলে মজমার ক্যানভাসাররা সহজেই তাদের ফাঁদে ফেলতে পারে। এসব ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়তই নগদ অর্থ খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

রাতের ঢাকার সার্বিক বিষয়ে ডিএমপির এক কর্তা (আমাদের মিডিয়ায় বক্তব্য দেয়ার অনুমতি নাই, তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে তিনি জানান, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি। বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে আসা যাত্রীদের লক্ষ্য করে ওঁৎ পেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। যে সব জায়গায় রাস্তার আলো নেই সেখানে তারা আক্রমণ করে। তিনি সবাইকে সচেতন এবং পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে যানজট লেগেই থাকে। এর কারনেই বেশি পরিমান অপরাধ সংঘঠিত হয়। অপরাধীরা অপরাধকর্ম সংঘটিত করার পর ঠিকভাবে পালাতে পারে কিনা সে বিষয়টিও মাথায় রাখে। ফলে যেখানে একটু মানুষজন কম, নির্জন এলাকা সেখানে ছিনতাই বেশি হয়। রাজধানীতে ভোরের দিকে এ প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়। পুলিশ বাহিনী টানা পার্টি, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ হিজড়াদের চাদাঁ তোলার দৃশ্য সব অপরাধীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে নানামুখি পদক্ষেপ সফলতার সাথে পরিচালনা করেছে। আর ছিনতাইসহ অন্যান্য ঘটনায় পুলিশের শরণাপন্ন হতে হবে।

টহল অব্যাহত রয়েছে: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, ছিনতাই অনেকরকম হয়। সে ক্ষেত্রে যারা সংঘবদ্ধভাবে গোলাগুলি করে বড় ধরনের ছিনতাই করেন, লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিগত সময় এমন অনেক সংঘবদ্ধ চক্রের হোতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবসহ পুলিশের সকল অঙ্গসংগঠন গুলো। এছাড়াও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশ কর্যক্রমের সার্বিক বিষয় নিয়ে ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন,পৃথিবীতে পুলিশই একমাত্র সরকারি সেবাদানকারী সংস্থা যার সেবা নিঃশর্তভাবে দিবারাত্র ২৪ ঘন্টা পাওয়া যায়। পূজায়-পার্বণে, জনারণ্যে-নির্জনে, অবসরে বা কর্মস্থলে এমন কোন সময় বা স্থান নেই যেখানে আধুনিক সভ্য মানুষ পুলিশের সেবা প্রত্যাশা করেন না। পুলিশের এই সেবা হয়তো কোন বিশেষজ্ঞের সেবা নয়। কিন্তু, জনগণের সাধারণ প্রয়োজনে রাত বিরাতে একমাত্র পুলিশকেই সর্বপ্রথম কাছে পাওয়া যায়। ইতিহাসের সূচনালগ্নে এমন সব সেবা শুধু পুলিশই প্রদান করত, আজকের সমাজে যেগুলোর জন্য সরকারের বিশেষায়িত এক বা একাধিক পৃথক সংস্থা রয়েছে। কিন্তু, ঘরেবাইরে নিরবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির জন্য এই সব সেবায় প্রথম সাড়াদানকারী এখনও পুলিশ সদস্যরাই। যেমন, অগ্নি নির্বাপনের দায়িত্ব পুলিশের না হলেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশকেই সর্বপ্রথম উপস্থিত পাওয়া যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশের উপর আইনী নির্দেশ নেই। কিন্তু গভীর রাতে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশকেই পাওয়া যায়। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বটি তাই পুলিশকেই পালন করতে হয়। এমনি হাজার রকমের ঘটনায় পুলিশকেই প্রথম সেবাদান শুরু করতে হয়। নিভৃত পল্লীর পঙ্কিল পুকুরে অসময়ে আবিষ্কৃত বেওয়ারিশ লাশের সৎকার থেকে শুরু করে শহরের বিলাশী-ব্যবসায়ীর বাসার নিখোঁজ পোষা কুকুরটির সন্ধানের দায়িত্ব একমাত্র পুলিশকেই পালন করতে হয়। পুলিশকে সমাজের সেই সব অস্পৃশ্য কাজের ভার গ্রহণ করতে হয়, যেগুলোর ভার অন্য কেউ নিতে চায় না। পরিস্থিতির শিকার সাধারণ মানুষের যখন অন্য কোথাও যাবার সব স্থান রুদ্ধ হয়ে যায়, তখন তাদের সামনে শুধু পুলিশের কাছে যাবার পথটিই খোলা থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মূখপত্র।। NBB

Acting Editor: Neamul Hassan Neaz

Mofussal Editor: Kamrul Hasan Rony

Office: +8809611584881, 01320950171

E-mail: newsnbb365@gmail.com

Translate »