ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার–২০২৪–এর টেলিভিশন (প্রামাণ্য অনুষ্ঠান) বিভাগে আবারও বিজয়ী হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘তালাশ’।
বৃহস্পতিবার ৫ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৫ বছরে টিআইবির পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কর তুল দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল ‘গরিবের চাল-আটা খায়, ডিলার ও কর্মকর্তায়’ শিরোনামে প্রচারিত তালাশের ২৪৫তম পর্বের জন্য এবার পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে ‘তালাশ’।
সরকারের ভর্তুকির টাকায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ‘ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস)’ কার্যক্রমের ট্রাকসেল ও দোকানে যে চাল-আটা দেওয়া হয়, সেগুলো ভোক্তাদের না দিয়ে গোপনে বস্তা পরিবর্তন করে চড়া দামে বাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন শতশত টন চাল-আটা এভাবে চোরাইভাবে বিক্রি করা হয়। তালাশের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে এই দুর্নীতির সাথে জড়িত খাদ্য অধিদপ্তরের ডিলার ও কর্মকর্তাদের নাম।
এ নিয়ে পাঁচ বার টিআইবি পুরস্কার বিজয়ী ‘তালাশ’। ২০২৩ সালের টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরষ্কারও পায় ‘তালাশ’।
এ বিষয়ে সবুজ মাহমুদ তার নিজের ফেসবুককে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৪। এই নিয়ে তৃতীয় বারের মতো (টিআইবির) এই পুরস্কারে নিজের নাম যুক্ত হলো। ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০২৪।
কাজটি যখন করছিলাম তখন রামজান মাস। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন ওএমএস এর ট্রাক ও দোকানের দিকে ছদ্মবেশে নজর রাখতে হয়েছিল। সরকারের ভর্তুকির টাকায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ‘ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস)’ কার্যক্রমের ট্রাকসেল ও দোকানে যে চাল-আটা দেয়া হয়, সেগুলো ভোক্তাদের না দিয়ে গোপনে বস্তা পরিবর্তন করে চড়া দামে বাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন শতশত টন চাল-আটা এভাবে চোরাইভাবে বিক্রি করা হয়। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে এই দুর্নীতির সাথে জড়িত খাদ্য অধিদপ্তরের ডিলার ও কর্মকর্তারাই।
এই নিয়ে পাঁচ বার টিআইবি পুরস্কার বিজয়ী হয় ‘তালাশ’। ২০২৩ সালের টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরষ্কারও পায় ‘তালাশ’।