মাহবুব আলম :
টঙ্গী থানাধীন বিআরটিএ সংলগ্ন রাস্তার উড়াল সেতুটি এখন ছিনতাই কারীর অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে, প্রতিদিন ও রাতে ঘটছে নানা রকম ছিনতাইয়ের ঘঠনা,যাতায়াতকারী দুর পাল্লার মানুষসহ মোটর বাইক আরোহী ও সিএনজিসহ বাদ যাচ্ছে না সাধারণ চাকুরীজিবী,নারী পুরুষ সহ চলাচলের পথিক। মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরে যাচ্ছে ছিনতাই কারীর কবলে,নানা রকম দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বয়স্ক কিছু ছিনতাই কারীর অবস্থান এবং অবাধে ঘুরাফেরা করে উড়ালপথে। সুযোগ পেলেই ঝাপিয়ে পরে কোন পথিকের উপরে,বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ছিনিয়ে নেয় মানুষের সাথে থাকা সবকিছু।
বিশেষ করে রাত ১০(দশটার)পর থেকে ভোর ৬(ছয়)টা পর্যন্ত তাদের অবাধ চলাফেরা আর নিরীহ মানুষের মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার উপযুক্ত সময়,স্থানীয় লোকমুখে ও ভুক্তভোগী মানুষের আহাজারি থানায় এবং হাইওয়ে পুলিশের ডাইরিতে থাকলেও বাস্তবে এর নেই কোন প্রতিকার।
তেমনি একজন ছিনতাই কারীর অভয়াশ্রমে থেকে সবকিছু হারিয়ে প্রানে বেঁচে গিয়ে মোমেনুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানায়,গত ০২/০৫/২০২৫ ইং তারিখে ঢাকা মহানগরে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা ভাড়া বাড়ীতে যাওয়ার পথে ছিনতাই কারীর কেবলে পরে সর্ব শান্ত হয়ে টঙ্গী পুর্ব থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
মোমেনুর রহমান আরো বলেন-কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে শখের ও সপ্নের একটি মোটরসাইকেল কিনেছেন, মুলতঃ চাকুরীর সুবাদে যাতায়াতে সুবিধার জন্যই বাইক ব্যবহার করেন এবং নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করেন।
বিগত-০২/০৫/২০২৫ইং তারিখে আনুমানিক ভোর ৫:২৫ মিনিটের সময় টঙ্গী থানাধীন বিআরটিএ সংলগ্ন উড়াল সড়কে আসার সাথে সাথে পিছন থেকে তিনজন একই বাইকে করে এসে মোমেনুর রহমান কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং দেশীয় অস্ত্র তুলে যানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে – কাছে থাকা মোটরসাইকেল, নিজের ব্যবহার করা মোবাইল আই ফোন,ও মানিব্যাগে থাকা নগত=৩০০০ (তিন হাজার) টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল নাম: SUZUKI FIZZER FI AB3V.3 BLACK মোটরসাইকেলটি যাহার ইঞ্জিন নং- BGAI-838164
যাহার ক্রয়মূল্য =২৫৭৯৫০টাকা নিজের ব্যবহার করা মোবাইল APPLE -13, IMEII2:353490232305306-মোবাইলে ব্যবহার করা গ্রামীণ সিমকার্ড নাম্বার -০১৭১৭ ৫৭০২২১ এবং ০১৬৮৬৭৩৪৫০০ যাহার বর্তমান বাজার মুল্য=১২৪৯৯৯টাকা এবং নগত=৩০০০টাকা নিয়ে যায় বলে মোমেনুর রহমান জানায়,
এই ঘঠনার প্রেক্ষিতে টঙ্গী পুর্ব থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন তিনি, থানার পুলিশ বলছেন তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন,টঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ সাংবাদিকদের বলেন – টঙ্গী উড়াল সেতু সহ দিনে ও রাতে নিয়মিত নজরদারীর আওতায় আনা হয়েছে,বৃদ্ধি করা হয়েছে রাতের পাহাড়া।