নারায়ণগঞ্জের একটি তৈরি পোশাক কারখানার সেলাই অপারেটর হাসিনা বেগম। বয়স ৪৩। বিগত ২০ বছর ধরে তিনি একই কারখানায় কাজ করছেন। শুরুর দিকে মাসে আয় ছিল মাত্র ১,২০০ টাকা। এখন পান প্রায় ১২ হাজার টাকা। সেই টাকায় সংসার চালিয়ে দুই সন্তানকে বড় করেছেন।
স্বামী পেশায় দিনমজুর। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কখনও থেমে যাননি হাসিনা। প্রতিদিন ভোরে উঠে কাজে যান, রাতে ফিরেও করেন সংসারের কাজ। তার মেয়ে রোকসানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পড়ছেন, ছেলে স্থানীয় একটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে।
হাসিনার চোখে জল, কিন্তু মুখে গর্ব, “আমি সেলাই করেছি, ওরা বই ধরেছে। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।”
কারখানার ব্যবস্থাপক জানান, “হাসিনার মতো শ্রমিকরা শুধু মেশিনে কাপড় নয়, গড়েন দেশ ও ভবিষ্যৎ।”
এই একটি গল্পেই যেন ফুটে ওঠে আজকের মে দিবসের মূল বার্তা—শ্রমের মর্যাদা, সংগ্রামের মূল্য, আর সাফল্যের হাসি।