গাজীপুরের কাপাসিয়ায় চাঞ্চল্যকর সিফাত হত্যা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া বয়ে যাচ্ছে। সাধারন মানুষ এ হত্যা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর সিফাত (৬) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোর ৬ টার দিকে বাড়ির পাশের কাপাসিয়া মধ্যপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বাড়ির পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশু সিফাত কাপাসিয়া উপজেলার দস্যুনারায়নপুরের বড়টেক ( ঠেডাবাড়ীর) সোহাগ হোসেনের ছেলে । সে গতকাল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার কাপাসিয়া মধ্যপাড়া নানা (মজিবুর) এর বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুপুর ১ টার দিকে সে বাহিরে বালুর গদির পাশে খেলা করছিলো সুযোগ বুজে হত্যাকারীরা তাকে নিয়ে যায়। এ সময় তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও গায়ে হলুদ রঙের গেঞ্জি ছিল। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে সিফাতের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কাপাসিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল। পরদিন সকালেই শিশু সিফাতের বস্তাবন্দী মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে, এই অবুঝ শিশুর সঙ্গে কিসের শত্রুতা। থানা পুলিশ হত্যাকারীকে সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে। এখন এলাকাবাসী তাদের নিজ সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।
সিফাত নিখোঁজের সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের Golam Sarwar নামের আইডিতে শিশুটির ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয় যে, এ শিশুটিকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে পরে কাপাসিয়াসহ সারাদেশে ফেসবুকে ঝড় উঠে। পরদিন সকালে আবার ঐ আইডি থেকে একটা পোস্ট দেয়া হয় শিশুটিকে বস্তাবন্দী অবস্থায় বাড়ির পাশেই পাওয়া গেছে। দ্রুত ঘঠনাটি ছড়িয়ে পড়লে শতশত নারী পুরুষ দেখতে চলে আসে শোকে ছায়া মেনে আসে কাপাসিয়াসহ সোস্যাল মিডিয়াতে। সাধারন মানুষ এ হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবী উঠে।
নিখোঁজ হওয়ার সময় শিশুটির পড়নে জিন্সের প্যান্ট গায়ে হলুদ রঙের গেঞ্জি পরিহিত ছিলো। ছেলের মৃত্যুর খবরে তার মায়ের আহাজারীতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। নানাবাড়ি থেকে শিশু সিফাত নিখোঁজের সংবাদটি দ্রুত ফেসবুকে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে। দুষ্কৃতিকারিরা হত্যা করে রাতের কোনো এক সময় রিফাতের লাশ ফেলে যায়। লাশের গলায় প্লাস্টিকের রশি লাগানো ছিল এবং একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে অর্ধেক দেহ বরা ছিল। গলার পাশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সিফাত নিখোঁজের একটি ডায়েরী থানায় করা হয়েছিল আজকে (বুধবার) সকালে তার লাশ পাওয়া গেল এটি অত্যন্ত দুঃজনক। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিশু সিফাতের গাড়ের বাম পাশে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, দ্রুতই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্তের পরে রাত ৮ টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা শেষে পারিবারিকসহ এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডের সুষ্ট তদন্ত করে হত্যাকরীকে সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।