নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর মাহাতাবিয়া মাদ্রাসায় বোর্ডের অনুমোদনবিহীন একটি ভুয়া কমিটির মাধ্যমে অফিস সহকারী ও দুইজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মহলে এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২০২০ইং সাল হইতে অদ্যাবধি অত্র মাদ্রাসায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক কোনো অনুমোদিন কমিটি কিংবা স্বীকৃতি নবায়ন হয় নাই। অথচ ভুয়া কমিটি বানিয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দিয়েছেন।
হাতীবান্ধা আলিম মাদ্রাসা হাতীবান্ধা লালমনিরহাট এর ০৮/০১/২০২৪ ইং তারিখের অনুমোদিত কমিটির কাগজ স্ক্যানিং করে পানিয়াল পুকুর মাহা মাহাতাবিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভুয়া কমিটি কাগজ তৈরি করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আছেন। কমিটি অনুমোদনের কাগজে একটি স্মারক নং থাকে। সেই স্মারকে প্রতিটি মাদ্রাসার EllN/ইন নম্বর থাকে। মাহাতাবিয়া আলিম মাদ্রাসার কমিটির কাগজে হাতীবান্ধা আলিম মাদ্রাসার EIIN/ইন নম্বর দেওয়া রহিয়াছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পানিয়াল পুকুর মাহাতাবিয়া আলিম মাদ্রাসার কোন ডকুমেন্টস নেই এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পিন নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে কোন কাগজ পাওয়া যায় নাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার নিয়মিত ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কোনো কমিটি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়নি। এ অবস্থায় একটি অস্বীকৃত কমিটি নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে অফিস সহকারী ও দুইজন কর্মচারী নিয়োগ দেয়। অভিযোগ রয়েছে, এসব নিয়োগে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা হয়েছে।
মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বোর্ড বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন ছাড়াই কীভাবে এমন নিয়োগ হলো, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।”
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।