গাজীপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন ১৩নং ওয়ার্ড ইটাহাটা মিল্টন সরকারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়, এ সময় বেশ কিছু বাড়ির দরজা জানালা ও দুইটি সিএনজি সহ কয়েকটি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। উক্ত হামলার প্রতিবাদ করতে গেলে বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়াকে অস্ত্রাঘাত এবং লাঠি সোটা দিয়ে মারধর করেন। গতকাল ০৫ মে ২০২৫ ইং রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা সহ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।
তাৎক্ষণিক ঘটনাটি মহল্লা বাসীর কাছে দ্রুত জানাজানি হলে। মহল্লাবাসী পাল্টা আক্রমণ চালালে ঘটনাস্থল থেকে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় বাকি সবাই ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর এলাকাবাসী গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রশাসনকে খবর দিলে উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায় মামা এবং ভাগ্নের ৩৫০০ টাকা লেনদেনের সূত্র ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। উক্ত ৩৫০০ টাকা মামার কাছ থেকে ভাগ্নে ধার হিসেবে নেয় মামা ভাগ্নের কাছে সেই ধারকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভাগ্নে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার মামার বাসা সহ আশপাশের বেশ কিছু বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেন।
ভুক্তভোগী মোঃ রজব আলী, পিতা আব্দুল হাকিম জানান সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল হোতা ভাগ্নে সাইফুল, ও তার টিমের সাব্বির আহম্মেদ,শিপু, রিয়াজ, তাহের, শরীফ, জিসান, মুবিন, সহ নাম অজানা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন ছিলেন। তারা আমাদের বাড়িঘর সহ আশপাশের কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এ সময় মোঃ রজব আলী বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং তার ঘরে জমানো প্রায় ৪০ হাজার নগদ টাকা ও দেড় বড়ি পরিমাণ স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়।
উক্ত বাড়ির ম্যানেজারের সাথে কথা বলে জানা যায় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে কয়েকটি বাড়ির ভিতরে ঢুকে বেশকিছু ঘরের দরজা-জানলা ভাংচুর করেন এবং কিছু ঘরের ভিতরে ও জিনিসপত্র ভাংচুর করে যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিনি হিসাব করে জানাতে পারবেন। তাছাড়া সন্ত্রাসীরা ঘরের ভিতরে ঢুকে কিছু নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে এক পর্যায় মহল্লা বাসীর তোপের মুখে উক্ত সন্ত্রাসীরা লুটকৃত টাকা ও গহনা নিয়ে পালিয়ে যায় এসময় সাব্বির আহম্মেদ, ও শিপু, নামে দুই জন কে ধরে ট্রিপল নাইনের সহযোগিতায় বাসন থানার স্পেশাল ডিউটি রত এস,আই মোঃ আওলাদ ও তার সহযোগী মোঃ আলীম সহ সিভিলে আরও ৬-৭ জন প্রশাসনের হাতে আটকৃত সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়া চলছে।