প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২২, ২০২৫, ৫:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২১, ২০২৫, ৫:৪১ পি.এম
তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ভোল পাল্টে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার একান্ত সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছেন।
- পৌর আওয়ামী লীগ সহসভাপতির ভাই উপদেষ্টার পিএস
- উপসচিব পদোন্নতিতে জোর তদবির চালাচ্ছেন ৩০ ব্যাচের ১৬ জন
- স্বাস্থ্যে-৩, মন্ত্রিপরিষদে-২, স্বরাষ্ট্রে-২ কর্মকর্তা বহাল
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের জুলাইয়ে রাস্তায় নেমে আসে কোটি কোটি ছাত্র-জনতা। কোটা আন্দোলন রূপ নেয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় প্রায় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা। এই ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশ দিতে নিয়োগ দেয়া হয় ৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশেই মূলত গুলি চালানো হয় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর। এই ঘটনায় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন তার আস্থাভাজন এই ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ভোল পাল্টে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার একান্ত সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছেন।
জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দমন করতে সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালানো হয়। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা সরকারের অনুগত লোকদের নামিয়ে দেয়া হয় রাস্তায়। অহিংস এই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে সহিংস রূপ নেয় ১৫ জুলাই থেকে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহত করতে তাদের ওপর গুলি চালাতে পুলিশের সাথে ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি থেকে জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান এবং শান্তিশৃঙ্খলা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা জেলা ও মহানগর এলাকায় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে, সশস্ত্রবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনাকালে আইনগত দিকনির্দেশনা প্রদান ও দায়িত্ব পালনের জন্য নিম্ন ছকে বর্ণিত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০ কর্মকর্তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক তাদের নামের বর্ণিত অধিক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত আইনসমূহে এবং নিম্নবর্ণিত শর্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকাতে সংযুক্ত করা হলো। এইভাবে ৩০ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ১৯ জনকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সহিংস পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল অথবা আওয়ামী পরিবারের সদস্য এমন কর্মকর্তাদের প্রধান্য দেয়া হয়। সম্ভাব্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের ৩০, ৩১ এবং ৩৩ ব্যাচের ৭৮৩ জন কর্মকর্তার মধ্যে স্বৈরাচারী সরকারের আস্থাভাজন এমন ৩৯ জনকে বাছাই করে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০তম ব্যাচের ১৬ জন, ৩১তম ব্যাচের ১৬ জন এবং ৩৩তম ব্যাচের ৭ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে আওয়ামী শাসনামলের ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে।
ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশ দেয়া এই ৩৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে ভোল পাল্টে নিজেদের বঞ্চিতও দাবি করছেন।
জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এই কর্মকর্তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০ জুলাইয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ পাওয়া তালিকার ৬ নম্বরে থাকা সত্যজিত রায় দাশ। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩০ ব্যাচের এই কর্মকর্তার ভাই বিশ্বজিত রায় দাশ খাগড়াছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি।এ
ই ব্যাচের আরো যারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন তারা হলেন, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুজিৎ দেবনাথ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে নদী রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাকী। এই কর্মকর্তা এর আগে নরসিংদীর এডিসি, গাজীপুর সদনের ইউএনও এবং নারায়ণগঞ্জ সদরের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুবায়েত হায়াত শিপলু। এই কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত ভোটে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং সোনারগাঁও উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নিকারুজ্জামান কাজ করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে। ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এই কর্মকর্তা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান। এই কর্মকর্তার আগে কেরানিগঞ্জের এসিল্যান্ড, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদরের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সাভারের ইউএনও এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মো: হুমায়ুন কবির। এই কর্মকর্তা গাজীপুরের এডিসি, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে নরসিংদীর শিবপুরের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের ইউএনও, নরসিংদীর রায়পুরার এসিল্যান্ড এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান। এর আগে এই কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের এডিসি, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার ইউএনও, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিমুল কুমার সাহা কাজ করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে। বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনার কয়রা উপজেলার ইউএনও, এর আগে নড়াইল সদর উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেব কাজ করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ¯েœহাশীষ দাশ এর আগে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি চাঁদপুরের মতলব ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ও বর্তমানে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম। এই কর্মকর্তা আগে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ২০১৮ এর বির্তকিত নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সারোয়ার এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের আইন কর্মকর্তা ও বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: মাজহারুল ইসলাম। এই কর্মকর্তা র্যাবের আইন কর্মকর্তা হিসেবে চার বছর থাকাকালে র্যাবের বিভিন্ন অপকর্মের বৈধতা দিয়েছেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব বিকাশ বিশ্বাস। চার বছরের বেশি সময় ধরে একই বিভাগে কর্মরত আছেন তিনি। ধনঞ্জয় কুমার দাশের বিশ্বস্ত এ কর্মকর্তা ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি এই পদে যোগ দেন। ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই কর্মকর্তার অর্ডার হলেও জননিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকায় তার যোগদান করতে হয়নি।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব দেবাংশু কুমার সিংহ মাঠ প্রশাসনে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জের জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ। বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের ভাগ্নে পরিচয়ে দাপটের সাথে চাকরি করেছেন। ছিলেন ঢাকার লালবাগ সার্কেল এবং নরসিংদীর পলাশ উপজেলার এসিল্যান্ড। ইউএনও হিসেবে চাকরি করেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলায়। রাজউকের উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মতো লোভনীয় জায়গায় কাজ করেছেন এই কর্মকর্তা।
৩১ ব্যাচের কর্মকর্তারা হলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক লিটন সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব প্রত্যয় হাসান, বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ও বর্তমানে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের উপপরিচালক বি এম রুহুল আমিন রিমন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হওয়া আতিকুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তুষার আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক শরীফুল ইসলাম তানভীর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক উপপরিচালক বর্তমানে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উপব্যবস্থাপক এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মেহেদী হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কবীর হোসেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিপুল চন্দ্র দাস, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম মুনিম লিংকন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা: আবু তাহির। প্রায় দুই বছর ধরে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা আমিনুল ইসলামকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলেও জননিরাপত্তা বিভাগে পদায়ন থাকায় তাকে যোগদান করতে হয়নি।
এ ছাড়াও ৩৩তম ব্যাচের ৭ কর্মকর্তা হলেন, রাজউকের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সাবেক উপব্যবস্থাপক ও বর্তমানে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়াসিন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির সাবেক উপপরিচালক ও বর্তমানে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরুল হাই মো: আনাছ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব খন্দকার রবিউল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আব্দুল আউয়াল।
গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এসব ম্যাজিস্ট্রেটের প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষরকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জোতী প্রু এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।