• বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কিশোরগঞ্জে ফাজিল মাদ্রাসায় ভুয়া কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ সাভারে ৯৪ বোতল ফেনসিডিল সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার মিরপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জহিরুল ইসলাম-সম্পাদক মারুক হায়দার দেশজুড়ে অবৈধ আবাসন প্রকল্পের ছড়াছড়ি বিতর্কিত ঢাকা বোট ক্লাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান সাংবাদিককে হুমকি, অফিসে দাপট ; দুলালের খুঁটির জোর কোথায়? সাভারে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে খাস সম্পত্তির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ! ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে ইশরাক হোসেন ইস্যুতে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন হবে না: আসিফ মাহমুদ

দুদকের জালে হাসিনার পরীক্ষিত আমলা কৃষি সচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

“আমলা হওয়া কঠিন হলেও পয়সা বানানো সোজা, নৈতিকতার বেলায় নেই শুধু ফন্দি ফিকির খোজা। আজকে যিনি ধানক্ষেতে কাল ছিল নৌকায়, সরকারে যারাই থাকুক তাদের খবরদারি থেকে যায়। মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপনের নামে করেছে জনগণের হাজার কোটি তছরুপ, ভোল পাল্টে কৃষি সচিব মিয়ান এখন ধরেছেন নতুন রুপ। মায়া কান্না কেঁদে পেয়েছেন উপদেষ্টার সুনজর, সেই সুযোগেই খামার বাড়ির আওয়ামী দোসরদের প্রতিষ্ঠায় খাটাচ্ছেন জোর” স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিশ্বস্ত আমলারা বড় বড় পদে পদোন্নতি পেয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে প্রতিনিয়ত। হাসিনার আমলে খুন গুমসহ বিদেশে অর্থপাচারের সাথে জড়িত বিভিন্ন দপ্তরের আমলাদের দায় থেকে মুক্তি দিতে এ দপ্তর থেকে ওদপ্তরে পদোন্নতি কখনো চলতি দায়িত্ব দিয়ে স্থানান্তর করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে বিদেশে থেকেও যেন তার আধিপত্য ধরে রেখেছেন দেশের মধ্যে। এমনই এক কর্তার অবস্থান মিলেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ে।

তৎকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালে কমিটি গঠন করে সরকার। এ কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ আমলা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ কমিটিকে সহায়তা করতে ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি দায়িত্ব প্রদান করা হয় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ানকে। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ছাত্রহত্যা মামলায় কারাগারে থাকলেও এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এখন আছে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে। অথচ মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, স্নারক ও স্থাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং দলীয়করণের অভিযোগ উঠেছে।

ড. মিয়ান ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম। তিনি বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয়ে তিনি একই ধরনের দলীয় পক্ষপাত ও আমলাতান্ত্রিক স্বার্থে পরিচালিত নীতি অনুসরণ করছেন। দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর নাম এসেছে। কামাল আবদুল নাসের বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

মাঠপর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন, বরাদ্দ, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণে এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকলেও তিনি এখনো দায়মুক্ত। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেট কি তাকে দায়মুক্ত করেছে-সে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। বর্তমানে কৃষি সচিব হিসেবে দায়িত্বে থাকা এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের বিরুদ্ধে কৃষি প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে। মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন ও নিয়োগে তার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর সময় আওয়ামী সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়া যেসব আমলা বিবৃতি ও সভা-সমাবেশে অংশ নেন, তাদের অনেকেই পরবর্তীতে পুনর্বাসিত হন। তাদের কেউ সরাসরি না হলেও এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের ছত্রচ্ছায়ায় পুনর্বাসিত হয়েছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদায়নে এই প্রভাব স্পষ্ট।

বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের কারণে কার্যত সারাদেশে পতিত ফ্যাসিবাদ সমর্থিতরা পুনর্বাসিত হচ্ছে। সরকারের নানা কর্মকান্ড কৌশলে তারা ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। সচিবালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠদের কাছে সহসাই পৌঁছে যাচ্ছে। বিগত বড় বড় দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র সরিয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে গত বছরের ৫ আগস্ট। এর তিনদিন পরই যাত্রা শুরু হয় অন্তর্বর্তী সরকারের। এরপর সাড়ে সাত মাস অতিবাহিত হলেও কোথাও স্থিরতা আসেনি। বরং দেশে অন্তর্ঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরিতে চলছে নানা অপতৎপরতা। ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেকেই এসব অপতৎপরতায় ইন্ধন যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসব কর্মকর্তারাই একতরফা নির্বাচনের কুশীলব ছিলেন। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্টের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ছিলেন সদা তৎপর। বিনিময়ে নিজেরা হয়েছেন সম্পদশালী। জুলাই বিপ্লবের পরও তাদের অবস্থার নড়বড়ে হয়নি। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের অপসারণের দাবি ওঠলেও সরকার এ ব্যাপারে নির্বিকার। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠেছিল ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের খুঁটির জোর কোথায়?

গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের এক উপ পরিচালক নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, বঙ্গবন্ধু শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বর্তমান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ মুহাম্মদ এমদাদুল্লাহ মিয়ান এর বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম তুহিনের লিখিত এক অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুদক। তিনি আরো জানান অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে, এবং বিস্তর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মূখপত্র।। NBB

Acting Editor: Neamul Hassan Neaz

Mofussal Editor: Kamrul Hasan Rony

Office: +8809611584881, 01320950171

E-mail: newsnbb365@gmail.com

Translate »