নামাজের আগে ফিরে এলেন পুরনো খতিব, তৈরি হলো উত্তেজনা
প্রিন্স তুহিন
Update :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Share
গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক থাকেন বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন। নতুন খতুব হিসাবে নিয়োগ পান ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান।আজ জুম্মার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন তার নিজস্ব অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন। পড়ে তিনি খুতবা দেওয়া অবস্থায় বর্তমানে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির একপর্যায়ে মসজিদে চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর ফলে ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে করে মসজিদে আগত সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন।মসজিদের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এতে করে মসজিদের ভিতরে চরম উত্তেজনা কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সাধারণ মুসলিমেরা ভয়ে এদিক-সেদিক দৌড়াতে থাকেন।
আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা খবর পেয়ে মসজিদে আসেন।অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে ভয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হলে সোয়া একটার দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।
থমথমে পরিস্থিতিতে নামাজ শেষে করেন সাধারণ মুসল্লিরা। মসজিদে আগত মুসল্লী ফরহাদ আহমেদ নিউজ ব্যুরো বাংলাদেশকে বলেন, আমরা নিয়মিত এই মসজিদে নামাজ পড়ি, আজকেও দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়তে এসেছি, হঠাৎ করে দেখলাম আগের খতিব দল বল নিয়ে মসজিদে এসে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে করে, এতে করে আমরা সাধারণ মুসল্লিরা একটা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে সম্মুখীন হই। আরেকজন মুসল্লী দেলোয়ার সাহেব তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, আমরা এখানে নামাজ পড়তে আসি, আল্লাহর ইবাদত করতে আসি, এরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হোক সেটা আমরা চাই না, তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে আরো কঠিন হতে বলেন।
হঠাৎ দেখা যায় মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।এ সময় পুলিশ তাদের মসজিদ এলাকা থেকে চলে যাওয়ায় জন্য বলেন। পরে তারা রাস্তায় গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যের উপস্থিতিতে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।