ইছামতি নদী বা ইচ্ছামতি নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বাংলাদেশ- ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত।নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কিলোমিটার ।ইছামতি নদীটিকে বর্তমান নদী গবেষকগণ তিনভাগে ভাগ করেন। উচ্চ ইছামতি, মধ্যইছামতি এবং নিম্ন ইছামতি নামে। উচ্চ ইছামতি নদীটি পদ্মা নদীর একটি শাখানদী মাথাভাঙ্গা নদী থেকে প্রবাহিত হয় এবংবেনাপোল পর্যন্ত প্রবাহিত হয়।
মধ্য ইছামতি নদী বেনাপোল থেকে দেবহাটা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। নিম্ন ইছামতি নদী পশ্চিমবঙ্গেরসুন্দরবন এবং বাংলাদেশের সুন্দরবনের বুড়ি গোয়ালিনী রেঞ্জ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে রায়মঙ্গল নদীতে পতিত হয়।নদীটির উৎসহতে দেবহাটার পশ্চিম পর্যন্ত মোট দৈর্ঘ্য ২০৮ কিমি। প্রবাহ থেকে শেষ অংশ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাসনাবাদের কাছে এবংসাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার কাছে কালিন্দী নদীর সাথে যুক্ত হয়। একসময়ের পশ্চিম ঢাকার প্রধান নদী এবং দিনাজপুরেরইছামতি। ১৭৬৪-৬৬ সালের রেনেলের মানচিত্র অনুসারে শেষোক্ত নদী দুইটি একীভূত দেখা যায়। বেশকিছুজলানুসন্ধানবিদদের মতে, প্রাচীনকালে তিনটি ইছামতি নদীই অভিন্ন ছিল।
উপরোল্লিখিত দ্বিতীয় নদীটি যা হুরসাগরেরঅগ্রভাগের নাথপুর ফ্যাক্টরির বিপরীতে জাফরগঞ্জের দক্ষিণে উৎপত্তি লাভ করেছে এবং মুন্সীগঞ্জের মোহিনীঘাটের দিকে প্রবাহিতহয়েছে। যোগিনীঘাট যমুনা ও ইছামতির নদীসঙ্গমে অবস্থিত। নদীটিতে পাঁচটি তীর্থযাত্রার ঘাট -তীর্থঘাট, আগলা, শোলপুর, বরুণীঘাট ও যোগিণীঘাট রয়েছে যা স্থানীয়ভাবে পঞ্চতীর্থ ঘাট নামে পরিচিত।মাথাভাঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলারমুন্সীগঞ্জে পদ্মার ডানতীর থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এটি নদিয়া জেলার মাজদিয়ার কাছে দ্বিখণ্ডিত হয়ে দুটি নদী ইছামতি ওচূর্ণী উৎপন্ন করে। ভারতে ১৯.৫ কিলোমিটার । তীর্যকভাবে অতিক্রম করে, ইছামতি মুবারকপুরের কাছে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।এটি বাংলাদেশে ৩৫.৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হয় এবং আবারো ভারতে প্রবেশ করে নদিয়ার দত্তপুলিয়া দিয়ে। নদীটি বাংলাদেশও ভারতের মধ্যে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমারেখা তৈরি করে যা আংরাইল থেকে কালাঞ্চি এবং পুনরায় গোয়ালপাড়াথেকে কালিন্দী-রাইমঙ্গল আউটফল হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।ভৈরব এক সময় গঙ্গা থেকে প্রবাহিত হত, এটি তখনজলঙ্গীর বর্তমান তীরের মধ্যদিয়ে আরো পূর্বদিকে ফরিদপুরের দিকে প্রবাহিত হত।
ভৈরব এখন আর তেমন জীবন্ত নেই।মাথাভাঙা জলঙ্গীর একটি নতুন জলস্রোত এবং অতিসাম্প্রতিককালের আগ পর্যন্ত নদীটি হুগলীর সাথে যোগসূত্র ঘটায় চূর্ণীনদী গ্রহণের মাধ্যমে। আগেকালে মাথাভাঙার অধিকাংশ জল পূর্বে কুমার, চিত্রা, কপোতাক্ষ ও ইছামতিতে প্রবাহিত হত। এখানেউল্লেখযোগ্য যে, আগে এই অঞ্চলের নদীগুলো দক্ষিণ-পূর্ব অভিমুখে প্রবাহিত হত, কিন্তু পরবর্তীকালে কোন শক্তি জলাঙ্গী ওমাথাভাঙ্গাকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়। এটি ঘটার কারণ হল একটি স্থানীয় সাবসিডেন্স যা ১৭৫০ এর আগে কিছু সময়ধরে সংঘটিত হয় এবং এটি তখন থেকে অকার্যকর অবস্থায় আছে।ইছামতি নদীর এই ছবিটি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলারদেবহাটা থানা তীরবর্তী এলাকা থেকে ধারণ করা হয়েছে। নদীর পুর্কতীরে বাংলাদেশের জনপদের একাধিক বসতি বা গ্রামীনজনপদ আর পশ্চিম তীরে রয়েছে ভারতের একাধিক বসস্তি বা জনপদ।
ছবি: হাবিব সরোয়ার আজাদ, দৈনিক যুগান্তর, স্টাফ রিপোর্টার/ পরিবেশ কর্মী-০২ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ শনিবার।। smhsazadj@gmail.com, 01712040358
Chief Editor: Saidur Rahman Rimon
Acting Editor: Neamul Hassan Neaz
Office: +8809611584881, 01320950171
E-mail: newsnbb365@gmail.com
Copyright © 2025 NBB. All rights reserved.