দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় থেকে নিবন্ধন দেয়াসহ তদারকির আওতায় আনা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অভিভাবক মন্ত্রনালয়টি সাংবাদিকদের দেখভালের দায়িত্ব নেয়নি, নিচ্ছেও না। সাংবাদিকদের কল্যাণকামী কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের নিবন্ধনের ব্যবস্থা পর্যন্ত রাখেনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়। এ সুযোগের সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার করছে ভন্ড, প্রতারক ও ভুয়া সাংবাদিক চক্র। তারা জোট বেধে জয়েন্ট স্টক, সমাজে সেবা অধিদপ্তর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়, শ্রম দপ্তর কিংবা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে দেদারছে সাংবাদিক সংগঠন খুলে বসেছে, চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি, প্রতারণার বহুমুখী বাণিজ্য। ইদানিং তো শিল্প মন্ত্রনালয়ভুক্ত কোম্পানি আইনে আবার আইন মন্ত্রনালয়ের আওতায় ট্রাস্ট ঘোষণা দিয়েও সাংবাদিক সংগঠনের অনুমোদন দেওয়ার নজির দেখা যাচ্ছে।
ভূয়াদের সাইনবোর্ড সর্বস্ব সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে ঘিরেই সারাদেশে সাংবাদিকরা দল, উপ-দলে বিভক্ত, জড়িয়ে পড়েছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, কাদা ছোড়াছুড়িতে। প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ১০/১২/১৪টি করে প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সাংবাদিক সংগঠনের ছড়াছড়ি। এসব সংগঠন থেকেও সাংবাদিক কার্ড বিতরণের মাধ্যমে নিজ নিজ দল ভারি করার ঘটনা ঘটে। তারা সাংগঠনিক ভাবেই অপসাংবাদিকতার বিস্তার ঘটাচ্ছে, সাংবাদিকতাকে পরিনত করেছে ঠুনকো বিষয়ে। সংঘবদ্ধ চক্রের চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বেপরোয়া কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষজনও ত্যক্ত, বিরক্ত, অতিষ্ঠ- মর্যাদাপূর্ণ সাংবাদিকতা এখন অনেকের কাছেই ঘৃণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মূলত: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের যাচাই বাছাই ছাড়া অসাংবাদিক, প্রতারকদের হাতে সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন তুলে দেয়ার কারণেই ঘটছে বড় সর্বনাশ। ‘হাতে গোণা কিছু লোক সাংবাদিকতার নামে অপরাধ-অপকর্ম করছে’- এমন কথা আর বলার উপায় নেই। রাজধানীসহ সারাদেশে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের চেয়ে ভুয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা আট, দশ গুণ বেশি। দেশব্যাপী অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত তিনটি তথাকথিত সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য সংখ্যাই বিশ সহস্রাধিক। এর বাইরেও রয়েছে আরো দেড় শতাধিক সংগঠন।
ভন্ড, প্রতারক, ভূয়ারা সংঘবদ্ধভাবেই নানা অপকর্ম সাধনের অস্ত্র হিসেবে এসব সংগঠনকে ব্যবহার করে থাকে। স্বার্থসিদ্ধির এ লক্ষ্যেই রাজধানীসহ সারাদেশে গড়ে উঠেছে শত শত ভূইফোঁড়, সাইনবোর্ড সর্বস্ব সাংবাদিকদের অজস্র সংগঠন। প্রেসক্লাব, প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব, ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা মেট্টোপলিটন প্রেসক্লাব, ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব, মানবাধিকার-সাংবাদিক ক্লাব, সাংবাদিক সোসাইটি, সাংবাদিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ লিমিটেড, সাংবাদিক পরিষদ, সম্মিলিত সাংবাদিক জোট, টিভি সাংবাদিক এসোসিয়েশন, টিভি জার্ণালিস্ট ক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক ইউনিটি ইত্যাদি নামে অসংখ্য সংগঠনের ব্যাপক বিস্তার লক্ষ্যনীয়। এরমধ্যে অনেক সংগঠনের নামে সরকারি অনুমোদনও রয়েছে। তাদেরকে ভূয়া বলার সুযোগ আছে কি? অথচ দোকান আদলে গড়ে ওঠা বেশিরভাগ সংগঠনই সাংবাদিক ব্যানারে চালিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি।
নিয়ন্ত্রণহীন নিবন্ধনের সুযোগে-সাংবাদিক ব্যানারের এসব সংগঠনের কোনটাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদিত নয়। অন্য মন্ত্রনালয়, ভিন্ন দপ্তরের নিবন্ধন নিয়েই সংগঠনগুলো বেজায় দাপটে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছে। সংগঠনের সদস্যরা আদৌ সাংবাদিক কি না- নিবন্ধন দেয়ার সময় তা যাচাই পর্যন্ত করা হচ্ছে না। নিদেনপক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের একটা ছাড়পত্র নেয়া উচিত থাকলেও তার প্রয়োজনবোধ করা হয়নি। ফলে ইঞ্জিনিয়ার কালাম মিয়ার নেতৃত্বে অনুমোদন মিলেছে....
সাংবাদিক ক্লাবের, ডাক্তার হাবিবউল্লাহও বানিয়ে নিয়েছেন জার্ণালিস্ট এসোসিয়েশন। এসব সংগঠনে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ি, শিল্পপতি থেকে শুরু করে গাড়ির হেলপার পর্যন্ত ঠাঁই পেয়েছে- অভাব শুধু পেশাদার সাংবাদিকের। তবুও সেসব সংগঠন সরকারি দপ্তরগুলো থেকে অনুমোদন পেয়েছে, বিস্তার ঘটছে দেশজুড়ে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্বাস্থ্যসেবার যাবতীয় প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় দেওয়া হচ্ছে এনজিওসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাবসমুহের নিবন্ধন। তেমনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় নারী ও শিশু সংগঠনসমুহ, কৃষি অধিদপ্তরের আওতায় কৃষি সংগঠন, শ্রম অধিদপ্তরের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠন, সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমবায়ী সংগঠনসমূহের নিবন্ধনভুক্ত করা হয়। তাহলে মিডিয়াভুক্ত কর্মি ও সাংবাদিক সংগঠনসমূহকে কেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন আওতায় আনা হচ্ছে না? এখন শিল্প মন্ত্রনালয়ের আওতায় কোম্পানি আইনে আবার আইন মন্ত্রনালয়ের ট্রাস্ট ঘোষণা দিয়েও সাংবাদিক সংগঠনের অনুমোদন দেওয়ার নজির দেখা যাচ্ছে।
এসব কারণেই যত্রতত্র যে কেউ গড়ে তুলছে ভুয়া সাংবাদিক সংগঠন, হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারি অনুমোদন। ভূইফোড় এসব সংগঠন টাকার বিনিময়ে সারাদেশে শাখা-প্রশাখার অনুমোদন দিয়ে চলছে। সংগঠনের পক্ষ থেকেই ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সাংবাদিক আইডি। আবার অনেক ক্ষেত্রে সংগঠনের সিন্ডিকেট থেকে তথাকথিত ‘অনলাইন নিউজ পোর্টাল’ তৈরি করে তার আওতায় নিজেদের আইডি কার্ডও বানিয়ে নেয় তারা।
গন্ডমূর্খ একেকজন রাতারাতি চীফ রিপোর্টার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, নিউজ এডিটর, এডিটর পদবী ধারন করে রঙবেরঙের ভিজিটিং কার্ড বিলিয়ে বেড়ান। পরিচ্ছন্ন কর্মি থেকে শুরু করে টেম্পো চালক, মুদি দোকানি, সবজি বিক্রেতা, গাড়ির মেকারের গলায় কার্ড ঝুলিয়ে দিয়ে মুহূর্তেই সাংবাদিক বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। তারাই রীতিমত সাংবাদিক কার্ড বিক্রির মহোৎসব শুরু করেছেন। তাদের সাংবাদিকতার বিষয়াদি জানতে চাইলেই জবাব আসে, ‘আমার সাক্ষরে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড দেই- আমি কোন পত্রিকার সাংবাদিক সে পরিচয় আলাদাভাবে দেয়ার কী আছে?’
বছর জুড়ে চলে ধান্দা বাণিজ্য: ধান্দা বাণিজ্যে অভাবনীয় সফলতা দেখে অনলাইন কর্মিরাও কয়েক ধাপ এগিয়েছে। স্বঘোষিত অনলাইন রিপোর্টারদের নাম যুক্ত করে বানানো হচ্ছে একের পর এক সংগঠন। কাওরানবাজার সিএ ভবনের লিফটম্যান নানা নামে ভূইফোড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বানিয়ে শুধু মিরপুরেই তিন শতাধিক সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের সমন্বয়েই তিনি গড়ে তুলেছেন "সাংবাদিক কল্যান কো-অপারেটিভ লিমিটেড" নামের কথিত সাংবাদিক সংগঠন। মফস্বল পর্যায়ে এ ধরনের সাংবাদিক সংগঠনের বিস্তৃতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
রাজধানীরও থানায় থানায় প্রেসক্লাব গজিয়ে ওঠার সীমাহীন দৌড়ঝাপ লক্ষ্য করা যায়। রঙ বেরঙের পোস্টার বানিয়ে প্যানেল তৈরি করে সেসব প্রেসক্লাবে নির্বাচন প্রতিযোগিতাও চলে। মূলধারার না হোক, নিয়মিত প্রকাশিত হয় এমন সংবাদ মাধ্যমের কোনো রিপোর্টারেরও অবস্থান নেই সেখানে। বৃহত্তর মিরপুরে নানা নামে ৯টি প্রেসক্লাব গড়ে উঠেছে, উত্তরায় সাংবাদিক সংগঠনের সংখ্যা এক ডজন ছাড়িয়ে গেছে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছয়টি প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটি রয়েছে। একইভাবে টঙ্গীতে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক যুক্ত করে সাতটি, আশুলিয়ায় চারটি, গাজীপুরে ৮টি সংগঠন গড়ে উঠেছে। অন্যান্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ। বেনাপোল বন্দরকে ঘিরে গজিয়ে উঠেছে ১১টি সাংবাদিক সংগঠন। কোনো কোনো উপজেলায় ১৭/১৮ টি পর্যন্ত সাংবাদিক সংগঠন থাকারও নজির রয়েছে।
কথিত প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনকে ঘিরে বছরজুড়ে চলে গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব সংঘাত- চলে বহিস্কার পাল্টা বহিস্কারের পালা। সভাপতি সাহেব সেক্রেটারীকে বহিস্কার করলে তিনি আবার নতুন সভাপতি নিয়োগ দিয়ে প্রেসক্লাবের সাইনবোর্ডটা টিকিয়ে রাখেন, বহিস্কৃত সভাপতি গড়ে তোলেন আরেকটি নতুন প্রেসক্লাব। তবুও তাদের প্রেসক্লাব চাই-ই চাই। প্রেসক্লাব কিংবা সাংবাদিক নাম যুক্ত করা সংগঠন খুলে কিসের লাভ? সেসব ক্লাব-সংগঠনে পেশাদারিত্বের কোনো বালাই নেই, নেই একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালাও। কিন্তু লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নৌভ্রমণ, পিকনিক আয়োজনে তাদের বেজায় শখ।
নাম-কা-ওয়াস্তের সংগঠন খুলে বসা সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সদস্যরা একেকজন ডজন ডজন মামলার আসামি হওয়া সত্তেও থানা পুলিশের একশ্রেণীর কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের গলায় গলায় পীড়িত। তারা কখনও গোয়েন্দা সদস্য ও থানা পুলিশের সোর্স হয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজিও করে থাকে। আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাড়ি, বেকারি, কারখানা, ইজিবাইক পরিবহন, ব্যবসায়ী, আদম পাচারকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় চক্রটি।
সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। যৌণকর্মি, ভবঘুরে, মাদক ব্যবসায়ির গলাতেও ঝুলে রিপোর্টার আইডি। এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবে তারা বিশ্বস্ত, ঘুষ বাণিজ্যেরও সহায়ক। চিহ্নিত প্রতারকরা পেশাদার সাংবাদিকদের কারো না কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে সাইনবোর্ড হিসেবেও ব্যবহার করেন।
সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলে পড়েন তারা। প্রকৃত ঘটনা কি-সে ঘটনার আদৌ কোনো নিউজ ভ্যাল্যু আছে কি না- সেসব ভেবে দেখার ফুসরৎ তাদের নেই। তাদের দরকার নিজেদের প্রতাপ দেখিয়ে, আতংক ছড়িয়ে টুপাইস কামিয়ে নেয়া। টাকা পকেটে না আসা পর্যন্ত চিল্লাপাল্লা, হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের সব কান্ডই ঘটিয়ে থাকেন তারা।
পেশার মর্যাদা রক্ষায় যা জরুরি: ঐতিহ্যবাহী মর্যাদার সাংবাদিকতার অস্তিত্ব ও সম্মান রক্ষায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের যেমন বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনি প্রকৃত সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় হওয়া দরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় ব্যতিত অন্য কোনো মন্ত্রনালয় বা দপ্তর-অধিদপ্তর থেকে সাংবাদিক সংগঠনের অনুমোদন দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এ ধরনের কোনো সংগঠনের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা যাচাই বাছাইকৃত হতে হবে। যে কোনো পত্রিকার সাংবাদিক নিয়োগ ক্ষেত্রেও মিনিমাম ক্রাইটেরিয়া প্রতিপালনের বিষয়টি এ ধরনের একটি কমিটি দ্বারা তত্বাবধান করা প্রয়োজন।
(সাঈদুর রহমান রিমন- দৈনিক দেশবাংলা‘র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ক্র্যাব এর সিনিয়র সদস্য)
Chief Editor: Saidur Rahman Rimon
Acting Editor: Neamul Hassan Neaz
Office: +8809611584881, 01320950171
E-mail: newsnbb365@gmail.com
Copyright © 2025 NBB. All rights reserved.