বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর তথ্য জানানো হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের মাঝে খতিব জটিলতায় অনেকটা থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন তার কথিত লোকজন নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে অবস্থান নেয়। এতে করে উদ্ভট এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
মুসুল্লিদের ভাষ্যমতে, জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমে বর্তমান খতিব বয়ান করছিলেন। এ সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বয়ানরত খতিবের মাইক্রোফোনে কেড়েনেন, এবং তিনি নামাজ পড়াবেন বলে জানান। এতে অন্য মুসুল্লিরা অস্বীকৃতি জানান এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। তখন মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এতে করে রুহুল আমিন এর অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ শুরু করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মসজিদের ভিতরে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলা হয়। একপর্যায়ে জুতার রেক ছুড়াছুড়ি এবং সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় আগত সাধারণ মুসিলিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনার খবর পেয়ে মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাছাড়া এর আগেই থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে সোয়া একটার দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। তারপর থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই জুমার নামাজ আদায় করেন সাধারণ মুসল্লিরা।