চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় তিয়ানশি কোঃ বাংলাদেশ লিঃ-এর নাম ব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে পরিচিত সিলভার লায়ন মহারাজ হাওলাদার-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং বিয়ের তথ্য গোপন রেখে নতুন নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন কাঠগড় এলাকায় ইয়াসমিন নামে এক স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। তবে আশপাশের মানুষদের কাছে নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দেন তিনি। তবে খাগড়াছড়ি জেলার আলীকদমের লামার খালেদা আক্তারের খুলনার এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করেন। প্রথম বিয়ে বরিশাল দেশের বাড়িতে করলেও পরে একে একে একাধিক এলাকায় বিবাহ কারার নাটক করে নারীদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই মহারাজের নেশা ও পেশা।
অভিযোগ আরও রয়েছে, নিজের বয়স কমিয়ে দেখানোর উদ্দেশ্যে তিনি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেছেন, যেখানে তাঁর প্রকৃত জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতি করা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘মহারাজ’ নামধারী এই ব্যক্তি তিয়ানশি কোঃ বাংলাদেশ লিঃ-এর পরিচয় ব্যবহার করে খাগড়াছড়ি জেলার আলীকদমের লামার খালেদা আক্তার, ফেনীর ইয়াসমিন আক্তার সহ একাধিক নারীদের আকৃষ্ট করেন এবং ব্যবসার নামে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে—এই প্রতারকের আসল শক্তি কোথায়? কে বা কারা তাকে এসব কাজ করতে সহযোগিতা করছে, নাকি তিয়ানশি কর্তৃপক্ষই বিষয়টি উপেক্ষা করছে?
এই বিষয়ে তিয়ানশি কোঃ বাংলাদেশ লিঃ-এর বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আইনজীবী স্বজন মজুমদার বলেছেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুয়া তথ্য প্রদান, প্রতারণা করে বিয়ে করা এবং গোপন বৈবাহিক সম্পর্ক রাখা—এগুলো সবই বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ। এসব ঘটনায় প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।” মহারাজের বিষয়ে আরো অনুসন্ধান চলছে…