টিসি নিয়ে আসা এক ছাত্রীকে ভর্তি না করায় অধ্যক্ষের উপর হামলা, দেড় হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় তিন হামলাকারীকে

অন্য কলেজ থেকে বদলি হয়ে আসা এক ছাত্রীকে ভর্তি না করায় অধ্যক্ষের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এজন্য দেড় হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় তিন বখাটেকে। ভাড়াটিয়াদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন আলিপুরের মরহুম শহীদ মিয়া সাহেবের ছেলে আরিফুর রহিম ওরফে রনি (৪৯) নামে এক ব্যক্তি।

পুলিশ এ ঘটনার নির্দেশ দাতা আরিফুর রহিম ও হামলায় অংশ নেওয়া তিন বখাটের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে এ হামলার ঘটনায় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান এ তথ্য জানান।

আরিফুর রহিম শহরের আলীপুর মহল্লার আলাউদ্দিন খা সড়ক রাজ্জাকের মোড় সংলগ্ন, দক্ষিণ আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, তিনি ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) এর সভাপতি।

গ্রেপ্তার হওয়া অপর দুই বখাটে হলেন, শহরের দক্ষিণ আলীপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা আলীপুর করবস্থানের পিছনে শিকদার বাড়ী ভবনের আদিল শিকদার ওরফে সাইমুন (২১) এবং একই এলাকার জুয়েল শিকদার (২৫)।

প্রসঙ্গত গত ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে সাতটার দিকে শহরের ঝিলটুলী মহল্লা এলাকায় অবস্থিত সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সন্নিকটে আব্দুল করিম সড়কে ‘ফ্রেস ফুড এন্ড পেস্ট্রি’ শপের সামনে অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষের স্ত্রী জাহিদা আক্তার ওরফে কেয়া বাদী হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাদায়ের করেন।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, সিসি ক্যামেরার ছবি পযালোচনা এবং ম্যানুয়ালী সোর্স দিয়ে তদন্ত করে অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনাটি সনাক্ত হয় এবং নির্দেশদতাসহ হামলাকারীদের সনাক্ত করা হয়। গত বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে শহরের আলীপুর মহল্লা হতে নির্দেশদাতাসহ ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া আদিল শিকদার বোনের বাড়ি থেকে এ হামলার ঘটনায় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটি (টিবিএস এপাচি-ফোরভি) উদ্ধার করা হয়।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিরামন বিশ্বাস জানান, অধ্যক্ষের স্ত্রীর দায়ের করার মামলায় এই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ তালুকদার আনিসুল ইসলাম বলেন, স্যার এর উপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এ খবর শুনে আমরা আনন্দিত। আন্যায়কারী গ্রেপ্তার হওয়া মানেই বিচার নিশ্চিত হওয়া নয়। শাস্তির জন্য যা যা প্রয়োজন তা করতে হবে। তিনি বলেন, এ রহস্য উদঘাটন হওয়ায় আমরা এক অস্থিরকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেলাম।