বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে কেমন বিপিএসসি দেখতে চাই এবং কী কী সংস্কার প্রয়োজন শীর্ষক ‘অংশীজনের ভাবনায়’ বিসিএসে অংশ নেয়া প্রার্থীরা এ প্রস্তাব দেন।
লিখিত পরীক্ষার সংস্কারে শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবে বলেছেন, বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা ১০০ নম্বর করা অথবা বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র আলাদাভাবে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। মুখস্থ রচনা লেখার পরিবর্তে বিশ্লেষণধর্মী ও সৃজনশীল লেখার দিকে বেশি গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া লিখিত টেকনিক্যাল পরীক্ষার আগে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের বিরতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার আগে কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ রাখা। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৫০ নয় বরং কত গুণ পরীক্ষার্থীকে পাস করানো হবে, তা আগেই ঘোষণা দেয়া। উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বাসায় খাতা না পাঠিয়ে পরীক্ষকদের পিএসসিতে উত্তরপত্র যাচাইয়ের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষার সংস্কারেও প্রস্তাব দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে-
*বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি বিসিএসে কতজনকে প্রিলিমিনারি পাস করানো হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে;
*প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে কাট মার্কস উল্লেখসহ প্রার্থী কত মার্কস পেয়েছেন, তা জানিয়ে খুদে বার্তায় দেয়া যেতে পারে;
*বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার পর, বিপিএসসি (বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন) পরীক্ষার প্রশ্নের একটি খসড়া উত্তরপত্র পিএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করে ৭ দিন সময় দেয়া যেতে পারে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল পরিলক্ষিত হলে পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্সসহ পিএসসিকে ই-মেইল করতে পারেন—এমন সুযোগ রাখা যেতে পারে। এ কাজ শেষ হওয়ার পর পিএসসি একটি ফাইনাল উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করে ওএমআর চেকিং করার কাজ শুরু করতে পারে। যেমনটা ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস করে থাকে;
*প্রশ্নপত্রের ওপরে রাফ করা যাবে, তা প্রশ্নের নিচে উল্লেখ করে দিলে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। অনেক হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মাননীয় শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় তারা পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নে রাফ করতে দেন না। এতে পরীক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়;
*পরীক্ষার শেষে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন কারণ এর আগে কখনই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কর্মশালা বা মতবিনিময় সভা করা হয়নি। এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও করার অভিপ্রায় রয়েছে। যেসকল সংস্কার ও পরিবর্তনের মতামত শিক্ষার্থীরা দিয়েছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে এবং উপযুক্ত পরামর্শ বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় কমিশনের সদস্য, কমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।