• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীত টিসিবির পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ভোক্তারা কিশোরগঞ্জে ফাজিল মাদ্রাসায় ভুয়া কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ সাভারে ৯৪ বোতল ফেনসিডিল সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার মিরপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জহিরুল ইসলাম-সম্পাদক মারুক হায়দার দেশজুড়ে অবৈধ আবাসন প্রকল্পের ছড়াছড়ি বিতর্কিত ঢাকা বোট ক্লাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান সাংবাদিককে হুমকি, অফিসে দাপট ; দুলালের খুঁটির জোর কোথায়? সাভারে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে খাস সম্পত্তির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ! ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে

মায়ের সেলাই করা ইউনিফর্ম পড়ে পুলিশের টিয়ারশেলে; দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসছে ছেলে

বিশেষ প্রতিবেদন
Update : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে আহতদের কেউ হারিয়েছেন হাত, কেউ পা। আবার কারও দৃষ্টিশক্তি হারানোর দশা। এদেরই একজন আঠারো বছর বয়সী মুকিত। গত জুলাইয়ে রাজধানীর কাফরুলে পুলিশের টিয়ার শেলে মুকিতের চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসার পরও ফেরেনি স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি।

মুকিতের মতো এমন শত শত তরুণপ্রাণ আর তাদের পরিবারের স্বপ্ন বিসর্জনের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আমূল বদলে যাবার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। মুকিত বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি যেখানে তাকাচ্ছি সেখানটাই ব্লার (ঘোলা) হয়ে যাচ্ছে।

ছাত্র জনতা আন্দোলনের শুরুর দিকে ১৯ জুলাই রাজধানীর কাফরুলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ছিলেন মুকিতও। তার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার শেলে। পরে নেয়া হয় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। চলে চিকিৎসাও। কিন্তু চোখ ফেরেনি আগের অবস্থায়।

মুকিত বলেন, আন্দোলনের সময় পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়েছে। গুলি ছুড়েছে। পরে যা দেখি সব বেগুনি রঙ মনে হচ্ছে, চোখ জ্বলতেছিল। এর তিনদিন পর চোখটা পুরো লাল হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে গেলে ডাক্তার বলেন যে চোখে আঘাত পেয়েছি। এর জন্য রেটিনা নষ্ট হয়ে গেছে।

নিয়তি এমনই নির্মম যে পুলিশ বাহিনীর ছোঁড়া টিয়ার শেলে মুকিতের দৃষ্টিশক্তি চলে যাবার দশা। সেই বাহিনীরই ইউনিফর্ম সেলাইয়ের কাজ করেন তার মা। বাবাহীন মুকিতদের পরিবার চলে তাদের মায়ের সেলাইয়ের সামান্য আয়ে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে সন্তান রুখে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি নিভু-নিভু। দুশ্চিন্তা আছে। তবে ভরসা রাখছেন রাষ্ট্রের ওপর।

মুকিতের মা বলেন, ৯ মাস পেটে ধরে জন্ম দেয়া এরপর কষ্ট করে বড় করার পর একটা ছেলে অন্ধ হয়ে যাবে এই দুঃখ কারো কাছে বলার মত না।

ছবি আঁকা মুকিতের অন্যতম প্রিয় কাজ। এখন আঁকতে- পড়তে বেশ বেগ পেতে হয় তাকে। এরপরও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় আন্দোলনের অংশ হতে পেরে আক্ষেপের চেয়ে তৃপ্তিই ঝরলো মুকিতের কণ্ঠে।

মুকিত বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে একটা পর্যায়ে যাচ্ছে বা যাবে। যদি যায় তাহলে এই চোখের বিনিময়েই তো যাবে। একটু একটু ত্যাগের মাধ্যমেই অনেক বড় কিছু হয়। সেই ত্যাগের মধ্যে আমি থাকতে পেরে ভালো লাগছে। মনে হয় আমি আছি, আমি ছিলাম।

ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে জুলাই-আগস্টে আহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মূখপত্র।। NBB

Acting Editor: Neamul Hassan Neaz

Mofussal Editor: Kamrul Hasan Rony

Office: +8809611584881, 01320950171

E-mail: newsnbb365@gmail.com

Translate »