শাহীনুর কবির জানান, একই কারখানায় কাজ করার সুবাদে সোহাগ ও তানিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তানিয়া তাঁর প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে গত বছর সোহাগকে বিয়ে করে আশুলিয়ায় ভাড়াবাসায় সংসার শুরু করেন। এদিকে সোহাগের প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় সম্পর্কের বিষয়টি জেনে গেলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের অপবাদ এনে প্রথম স্ত্রী সোহাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া সন্তান নেওয়ার কথা বললে তাতে অস্বীকৃতি জানান সোহাগ।
এসব জেরেই তানিয়াকে বেড়ানোর কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অর্ধনগ্ন মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় সাভার মডেল থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছে সোহাগ মোল্লা।