
ঢাকার সাভারে অনলাইনে মোটর সাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেল কিনতে এসে ঠিক আছে কিনা টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় আরিফ নামে এক যুবক। এসময় তার সাথে আসা ইসরাফিলকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন মোটরসাইকেল মালিকের স্বজনরা। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া আরিফ ও তার সহযোগী ইসরাফিলের পক্ষ নিয়ে থানায় চাঁদাবাজির মামলা নিয়ে মোটরসাইকেলে মালিকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এরআগে সকালে সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন ছিনতাইকারীর সাথে আসা ইসরাফিলের স্ত্রী সাবিনা আক্তার মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলের মালিক মোহম্মদ তুহিন ও তার চাচাতো ভাই আকাশ মিয়া (১৮) ও সাকিব (২৪)। গ্রেপ্তার আকাশ ও সাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম নুরু বলেন, আমার ভাতিজা তুহিন গত শুক্রবার ( ২ মে ) তার মোটরসাইকেল বিক্রি করার জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে পরদিন শনিবার দুপুরে সাভারের পাকিজা এলাকায় আরিফ ও ইসরাফিল নামে দুইজন ক্রেতা দেখতে আসে। এসময় আরিফের সঙ্গে থাকা ইসরাফিলকে তুহিনের লোকজনের কাছে রেখে মোটরসাইকেল ঠিক আছে কি না টেষ্ট করার জন্য নেয়। পরে আরিফ মোটরসাইকেলটি নিয়ে তুহিনকে পিছনে বসিয়ে টেষ্ট ড্রাইভে বের হয়। এরপরে আরিফ মোটরসাইকেল নিয়ে সাভারের জোরপুল এলাকায় পৌঁছায়। সেসময় তুহিনকে মোটরসাইকেল থেকে নেমে একটি পানির বোতল কিনে আনতে বলে সুযোগ বুঝে আরিফ মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তুহিনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে পাকিজার সামনে থাকা ইসরাফিলকে সবাই জিজ্ঞাসা করে ওই ছেলে কোথায়? কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া আরিফের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তখন সবাই আরিফের সাথে থাকা ইসরাফিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু মোটরসাইকেল না নিয়ে আসায় তুহিন ও তার চাচাতো ভাইরা সেখানে উপস্থিত হয় এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরইমধ্যে পুলিশ আমাদেরকে ফোন দিয়ে থানায় আসতে বলে। তখন আমরা থানায় আসলে তুহিন ও তার চাচাতো দুই ভাইকে পুলিশ আটকে রাখে। কিন্তু মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে পুলিশ আমাদের কোন কথাই শুনছে না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ আমাদের মোটরসাইকেল উদ্ধারতো দূরের কথা উল্টো আমার ছেলে ও ভাতিজার নামে মামলা নিয়েছে। তিনি এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।
এঘটনায় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, ইসরাফিল মূলত চোরের প্রতারণার শিকার হয়েছে। তাকে ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে চোর পালিয়ে যায়। এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।