চট্টগ্রাম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে পরিসংখ্যান অফিসার ইয়াসমিন আক্তার রুমা এবং তার স্বামী মোশাররফ হোসেন ভূইয়া হাজার কোটি টাকা বনেছেন। চট্টগ্রাম করেছেন আলিশান বাড়ি, রয়েছে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ও আরেকটি দামী ব্রান্ডের ২টি গাড়ী। কিছুদিন আগে পরিবারের সবাই প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে হজ্জ করে এসেছে। সেখানে কুরবানিও দিয়েছে। এখনও ছুটিতে আছে। বছরে ২/১ বার বিদেশে ভ্রমণ করেন বলে জানাযায়।
তাদের গাড়িচালক হাশেম মিয়ার তথ্যমতে,ইসলামী ব্যাংক মগবাজার শাখার একটি একাউন্ট থেকেই গত কয়েকদিনে শত কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন মোশাররফ। বিশেষ করে দুর্নীতি লুটপাট নিয়ে হৈ চৈ শুরু হতেই টাকাগুলো তুলে ফেলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধানে জানাযায়, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর গ্রামের মরহুম ইলিয়াস হোসেন ভূইয়া ছেলে মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এসিআই কোম্পানির ক্রোপ কেয়ার পদে চাকুরি করেতেন। এসিআই কোম্পানিতে ১০/১১ বছর চাকুরি করার পরে ২০২২ সালে চুরির দায়ে চাকরিচ্যুত হন। এবং তার স্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মচারী। বর্তমানে চট্টগ্রামে পরিসংখ্যান অফিসার পদে কর্মরত আছে।
চাকুরী ছাড়া তাদের বৈধ আয়ের কোন উৎস না থাকা সত্বেও হাজার কোটি টাকা বনে গেছেন। মোশাররফ ভূইয়া ও তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্ট আছে ৩০ টির অধিক। শুভপুর বাজারে কৃষি ব্যাংকে তাদের কয়েকটি ব্যাংক একাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আরও জানাযায়, পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি টাকার এফডিআরসহ চট্টগ্রাম হালিশহর বি ব্লকে পুরাতন থানার কাছে ১২ নম্বর রোড,১৬ নং প্লটে ৯ তলা রাফান প্যালেস। হালিশহর জি ব্লকে পোর্ট কানেকটিং রোডে ৪ নং গলির মাথায় রঙিন টিন দিয়ে ৪ কাঠা জমি। এছাড়াও রাজধানীর রামপুরায় হোটেল আল কাদেরিয়ার বিপরিতে রয়েছে রাফান টাওয়ার, মিরপুর বিআরটিএ এর পেছনের ৪১৯ সেন পাড়া পর্বতা ৪ কাঠা জমি ছিল সম্প্রতি বিক্রি করেছে ৪ কোটি টাকা। এছাড়াও ইস্কাটনের ফ্ল্যাট শাইন পুকুরের ৫ নং বিল্ডিং এর এ-৬ নম্বর ফ্লাটের মালিকও তারা।
ফ্লাট ও জমির মালিকানা ছাড়াও তাদের রয়েছে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে ৬০০০ হাজার শতাংশ জমিতে রির্সোট ও দেশি বিদেশি ৩০০ গরুর বিশাল খামার।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত ইয়াসমিন আক্তার রুমার কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন ট্যাক্স পেয়ী ব্যবসায়ী। আমার সহায় সম্পদ সবকিছুর বৈধতা ট্যাক্স ফর্মে উল্লেখ রয়েছে। একজন সুপারভাইজারকে গরু ফার্ম থেকে সরিয়ে দেওয়ায় সে নানা রকম চক্রান্তের ফাঁদ পাতছে। তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।