মোঃ জিয়াউল হক তুহিন:
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত সড়ক হচ্ছে যাএাবাড়ী ও পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া। ঢাকা শহরের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক এটি। সড়কটি ব্যবহার করেই এখানকার স্থানীয় জনগণ তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছান। সড়কটি ব্যস্ততম হওয়ার ফলে সড়কে চিত্র যেরকম হওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে গিয়ে তার উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে। সড়কটি নানা রকম খানা খন্দ ও বড় বড় গর্তে ভড়া। যাএাবাড়ী দয়াগঞ্জ রেললাইন এর নিচের অংশ যেন সড়কের নামে মৃত্যুফাদ। এই সড়ক ব্যবহার করে সাধারন মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। সাথে একটু বৃষ্টি হলেই সেই ভোগান্তি পৌঁছে যায় চরম পর্যায়ে।
অন্যতম একটি বেসরকারি প্রাইভেট হসপিটাল এই সড়কে অবস্থিত হওয়াই এর ফলে হাসপাতালে আগত চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এবং তার সাথে আসা স্বজনরা পড়েন চরম বিরম্বনায়৷ প্রতিদিনই এই সড়ক ব্যবহার করে তার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া লাগে শাহ-আলাম সাহেবকে। নিউজ ব্যুরো বাংলাদেশ এর সাংবাদিকে দেখেই তিনি দৌড়ে আসেন। বলেন ভাই কিছু একটা করেন, এভাবে তো আর নিতে পাড়ছি নাহ, প্রতিদিন আর কত কষ্ট করতে হবে আমাদের, কারকাছে গেলে পাওয়া যাবে এর প্রতিকার।
তিনি বলেন আমি আমার বাচ্চা কে নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করেই স্কুলে যাই। স্কুলে যাওয়ার একমাত্র বাহন রিকশা। কিন্তু এই সড়কে বেহাল দশার জন্য অনেক রিকশা এই সড়কে দিয়ে যেতে চায় না, তারপরও অনেক চেষ্টার পর রিক্সা পাওয়া গেলেও মনের ভিতরে আতঙ্ক থেকে যায়, কখন জানি দুর্ঘটনা স্বীকার হই। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী মফিজ সাহেব, বাসা যাএাবাড়ী হওয়াই তার ও এই সড়ক ব্যবহার করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
তিনিও অনেক আক্ষেপ করে নিউজ ব্যুরো বাংলাদেশ কে বলেন, এর চেয়েও গ্রামের রাস্তা অনেক ভালো। অতি দ্রুতই সড়কের এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি চান এই সড়কের চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।