বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে রাজনীতির ময়দানে আসছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি- এনসিপি)। দলটির সামনে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতের মতো অভিজ্ঞ, শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দলগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ।
আবার একই সঙ্গে সামনে থাকা একগুচ্ছ ‘কঠিন চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে অকালেই ঝরে পড়ার ঝুঁকিও কম নয়।
শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি ২৮) বিকেল তিনটায় আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি- এনসিপি)। তারাই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দলটির আহ্বায়ক হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাতকে দপ্তর সম্পাদক হচ্ছেন বলে জানা গেছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বিএনপি-জামায়াতকে টেক্কা দেওয়া সুযোগ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের শূন্যতা, গতানুগতিক রাজনৈতিক চর্চার ওপর জনগণের বিরক্তি, দীর্ঘকাল থেকে সুশাসন ও গণতন্ত্রের অভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, শোষণ-দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের জন্য জনগণের প্রবল আকাঙ্ক্ষা তরুণদের নেতৃত্বে গড়া নতুন এই দলটির সামনে বিপুল সম্ভবনা তৈরি করেছে।
তারা বলছেন, জনবান্ধব কর্মসূচি, অভ্যন্তরীণ ঐক্য, সঠিক কর্মকৌশল, প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব, সমাজের বিভিন্ন স্তরে থাকা দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রাম, স্বচ্ছ ও জনকল্যাণমুখী ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে আগামীতে এ দলটির সামনে রয়েছে জনগণের আস্থা অর্জনের সুযোগ।
এছাড়া শেখ হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরশাসন, আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাট-নিপিড়ন থেকে দেশ মুক্ত করার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ায় নতুন এ রাজনৈতিক শক্তির জন্য মানুষের বাড়তি মনোযোগ, আবেগ ও সহানুভূতি ‘প্লাস পয়েন্ট’ হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করেন তারা।
জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ যে ভূমিকা রাখতো ৫ আগস্ট পতনের মধ্যে দিয়ে সেখানে বিরাট একটি শূন্যতা তৈরি হয়। আওয়ামী লীগের এ শূন্যতা, তাদের ভোট নতুন রাজনৈতিক দলকে জায়গা করে নিতে বাড়তি সুবিধা দেবে। এছাড়া দলটির ভোটগুলো কয়েক ভাগ হয়ে এখানে একটা ভাগ যুক্ত হতে পারে। আবার আওয়ামী লীগের যেসব সমর্থক, কর্মী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ায়নি বা অতীতে অপরাধমূলক কাজে জড়ায়নি তারাও যুক্ত হতে পারে নতুন এই দলে।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিরোধ-সংঘাতে না জড়িয়ে সৃজনশীল কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে গেলে বেশি সফলতা পাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো জনমানুষের যেসব আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং সেসব আকাঙ্ক্ষা পূরণের কর্মকৌশল নতুন দলকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে বলেও মনে করেন তারা।
নতুন দলের সামনে একগুচ্ছ ‘কঠিন চ্যালেঞ্জ’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি- এনসিপি) অনেকগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনীতির ময়দানে তাদের মোকাবিলা করতে হবে ভোট ব্যাংক, জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক শক্তি, আন্তর্জাতিক পরিচিতি, প্রশাসনিক জনবল সব দিক থেকে এগিয়ে থাকা বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল এবং ছাত্র শিবিরের মতো শক্ত প্রতিযোগীকে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে দ্বিতীয় যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেটা হলো অভ্যন্তরীণ ঐক্য। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে তাদের মধ্যে ঐক্য দেখা গেছে, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেই ঐক্যে ফাটল ধরতে গেছে। আন্দোলনে ক্রেডিট নেওয়ার প্রবণতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিবাদ কাটিয়ে ঐক্য সুসংহত করা নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাদের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে ‘হানি ট্র্যাপ’ এড়ানো। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ব্ল্যাকমেইল করতে, তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে, অনেক সময় কোনো রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করতে সেখানকার নেতাদের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন সংস্থা বা গোষ্ঠী। তরুণ নেতাদের এই ধরনের ‘হানি ট্র্যাপ’ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পাশাপাশি লোভ সংবরণ করতে হবে, চরিত্র ঠিক রাখতে হবে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরুণদের প্রতি জনগণের যে আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করেছে। পরবর্তীতে তাদের অদূরদর্শিত, বিভিন্ন ভুল পদক্ষেপের ফলে সেই আবেগে ভাটা পড়ে। নিজেদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে জনগণের হারানো সেই আবেগ-ভালোবাসা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনা জাতীয় নাগরিক পার্টির জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ।
বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা টিকে থাকতে নতুন রাজনৈতিক দলকে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন করতে হবে। পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর শিক্ষিত সমাজের পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে যে সাংগঠনিক ভিত্তি প্রস্তুত আছে জাতীয় নাগরিক পার্টির জন্য সেটা অর্জন করা চ্যালেঞ্জিং।
বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটা রিজার্ভ ভোট ব্যাংক আছে। নতুন দলকে জনবান্ধব সেই ভোট ব্যাংকে হানা দিতে হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির তরুণ নেতৃত্ব শিক্ষার্থী, যুব, তরুণদের যতটা সহজে কাছে টানতে পারবে বয়স্কদের কাছে টানা ততটা কঠিন হবে। আরও একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে নতুন দলের জন্য। এক্ষেত্রে তরুণ নেতৃত্বকে অনেক বেশি বিনয়ী, সহনশীল, কথা-বার্তায় অনেক বেশি সতর্ক এবং বয়স্ক বান্ধব কর্মসূচি, জনবান্ধব কর্মসূচি, বার বার তাদের কাছে যাওয়া ও বোঝানোর পরামর্শ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
পুরোনো রাজনৈতিক দলের পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে তাল মেলানো নতুন রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য কম চ্যালেঞ্জ হবেও না । রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাপক পড়াশোনা, সৃজনশীল ও উদার চিন্তা, পুরোনো রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তরুণদের সাহায্য করবে। এছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতি গতানুগতিক চর্চা এক দলের সঙ্গে আরেক দলের বৈরী সম্পর্ক। এটি জনগণ ভালো ভাবে নেয় না।
এক্ষেত্রে নতুন দলের তরুণ নেতৃত্ব সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্প্রীতির সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু ও গঠনমূলক ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি চর্চা শুরু করার প্রচেষ্টা নিতে পারে। তারা নিজে থেকেই অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে এক টেবিলে আড্ডা-গল্প, অন্য দলের অফিস পরিদর্শনসহ, তাদের বাসায় দাওয়াত নেওয়া, নিজেরা দাওয়াত দেওয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে। রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ নতুন রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে রাখবে, একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক চর্চায় ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে। অন্য দিকে নতুন রাজনৈতিক দলের এই ধরনের উদ্যোগে পুরোনোরা সাড়া না দিলে তারা পিছিয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও সম্পর্ক স্থাপন। নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি যদি রাজনীতির লম্বা রেসে বড় কিছু অর্জন করতে চায় তাহলে তাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। দেশে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নতুন রাজনৈতিক দলকে আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে সহায়তা করবে।
এছাড়া গুজব ও তথ্য সন্ত্রাস মোকাবিলাও করতে হবে তাদের। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক তথ্য দিয়ে গুজব মোকাবিলা করা উচিত। গুজব দিয়ে গুজবের মোকাবিলার কখনো ভালো হয় না, টেকসই হয় না। বরং একটি রাজনৈতিক দলকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়, জনগণের আস্থা-বিশ্বাস নষ্ট করে।
অকালে ঝরে পড়ার প্রবল ঝুঁকি
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের প্রতি মানুষের প্রবল আবেগ ধরে রাখতে না পারা, জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া, প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বিভাজন, আন্দোলনে ক্রেডিট কেন্দ্রিক বিভক্তি, আন্দোলনের অন্যতম শরিক ছাত্রদল-ছাত্র শিবিরসহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বিরোধ নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড ও কিছু কিছু ব্যর্থতা নতুন রাজনৈতিক দলের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেও মনে করে বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন রাজনৈতিক দলের সামনে ইতিবাচক রাজনীতি চর্চার বিকল্প নেই। মানুষ দেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে বিরক্ত। বিগত মাসগুলোতে তরুণ ছাত্র নেতারা নতুন রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রে কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। ফলে জাতীয় নাগরিক পার্টি রেড জোনে আছে।
তারা বলছেন, বিষয়গুলো বিবেচনায় না রেখে এগিয়ে যেতে চাইলে সম্ভাবনাময় দলটি নাম-সর্বস্ব দলে পরিণত হতে সময় নেবে না।
নতুন রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনকামী নতুন নতুন রাজনৈতিক দল যদি হয়, বিশেষ করে ২৮ তারিখ যে দল আত্মপ্রকাশ করবে তাদের দিকে জনগণ তাকিয়ে আছে তারা কি ভূমিকা পালন করে। তাদের ভূমিকার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে। তারা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কি আচরণ করবে। সে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক দলটি গঠনের আরেকটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যেটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এই দল আমাদের জাতীয় জীবনে যুগান্তকারী বিষয় হিসেবে দাঁড়াতে পারে। তারা যদি নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দলীয় কলহ দূর করে, নিজেদের বিভক্তি, ভুল-ত্রুটি দূর করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটাতে পারে তাহলে কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে।
জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে নতুন দল (জাতীয় নাগরিক পার্টি) পরিণতি কেমন হবে? সে সম্পর্কে রাজনীতির এই শিক্ষক বলেন, আর গতানুগতিক ভাবে যদি একটা দল গঠন করে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য তাহলে কিন্তু এটা আবার তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দেখা দিতে পারে। সে জন্য আমরা দেখবো যে আগামীতে তারা কী ভূমিকাটা পালন করে।
তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল হচ্ছে, আশা করছি নতুন এই দল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে আরও এগিয়ে যাবে। এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করি তারা সবাইকে নিয়ে, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দেশের জন্য যেটা ভালো সেই কাজ করবে।
নতুন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, তাদেরকে আরও সহনশীল হতে হবে, বিভিন্ন বিষয়ে। সেনাবাহিনী প্রধান একটা কথা বলেছেন যে তারা যদি নিজেরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করে তাহলে কিন্তু স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। ছাত্র, বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠী যারা পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করল, জীবন দিল তারা যদি নিজেদের মধ্যে এখনই তর্কে-বিতর্কে লিপ্ত হয় স্বাভাবিক ভাবে আমরা সাধারণ মানুষ কিন্তু বিচলিত হয়ে পড়ি।
নতুন দলকে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের স্বাগত জানানোর বিষয়টি ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন দলকে সবাই স্বাগত জানাবে, বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বাগত জানাচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ক্ষমতায় থেকে না, ক্ষমতার বাইরে থেকে যদি রাজনৈতিক দল বানায় তাহলে তারা স্বাগত জানাবে। নতুন দলকে কেউ বিরোধিতা করছে না।