• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীত টিসিবির পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ভোক্তারা কিশোরগঞ্জে ফাজিল মাদ্রাসায় ভুয়া কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ সাভারে ৯৪ বোতল ফেনসিডিল সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার মিরপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জহিরুল ইসলাম-সম্পাদক মারুক হায়দার দেশজুড়ে অবৈধ আবাসন প্রকল্পের ছড়াছড়ি বিতর্কিত ঢাকা বোট ক্লাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান সাংবাদিককে হুমকি, অফিসে দাপট ; দুলালের খুঁটির জোর কোথায়? সাভারে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে খাস সম্পত্তির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ! ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে

রংপুরে এলজিইডি অফিসে আ.লীগের দোসর আলী আফসারের দুর্নীতি থেমে নেই! বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক

বিশেষ প্রতিবেদন :
Update : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার এলজিইডি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আফসার ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎকরে নিজে ও স্ত্রী শাহানা খানম বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে এককভাবে সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে আলী আফসার। তার অসাধু কর্মকাণ্ডের কারণে মিঠাপুকুর উপজেলা বাসীরা একের পর এক হয়রানি শিকার হচ্ছেন।

এলাকাবাসীদের অভিযোগে জানা যায়, যেকোনো কাজ নিয়ে ওই অফিসে গেলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একই কথা উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আফসারের সাথে যোগাযোগ করে আসুন। তা না হলে কোন কাজ করা সম্ভব না। এভাবেই চলে আফসারের রাজত্ব। সেই সুবাদে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঠিকাদার ও গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।

বর্তমানে মিঠাপুকুর উপজেলায় এলজিইডি অফিসে আলী আফসার সবার কাছে আতঙ্ক। তার চাকরির শুরুটা ছিল এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার। দীর্ঘদিন চাকরি করার পর প্রমোশন পেয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী হন আলী আফসার। চাকরির জীবনে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় তার কর্ম চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার শত শত অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করেছে এলাকাবাসী ও ঠিকাদাররা। পরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সেখান থেকে বদলি হয়ে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় এলজিইডি অফিসে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। হঠাৎ করে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন। তার মানে হল প্রমোশন পেয়ে দুর্নীতির মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন।

একক নিয়ন্ত্রণে চলছে তার ঘোষ ও বিভিন্ন অপকর্মের কর্মকাণ্ড। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে আলী আফসার তার নিজের প্রতিষ্ঠানগুলো এবং স্ত্রী প্রতিষ্ঠানগুলো চালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের এই দোসর এখনো বহাল তৈরিতে রয়েছে মিঠাপুকুর উপজেলার এলজিইডি অফিসে। তার এই দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে গত ৯ এপ্রিল রংপুর সদর বাসিন্দা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লিখিত ভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সেই অভিযোগের সূত্রে জানা যায় এইসব তথ্য।

অভিযোগে আরো জানা গেছে, উপ সরকারিপ্রকৌশলী আলী আফসার তার স্ত্রীর শাহানা খানমের নামে রংপুর জেলার শহরের রাধাবল্লব এলাকায় একটি ৬ষষ্ঠ তলা ভবন নির্মাণ করছেন ওই ভবনটির দুতলা পর্যন্ত ব্যয় করেছেন ৬৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। তার স্ত্রী ২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বরে আয়কর নথি খুলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী গৃহিনী হওয়া সত্ত্বেও শাহানা খানম কোটি কোটি টাকার মালিক। এলাকাবাসীর সহ সবার প্রশ্ন এত টাকা হওয়ার উৎস কোথায়? অবশ্যই অসৎ পথে উপার্জন করেছে আলী আফসার।

সূত্রে জানা গেছে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ১৯৬৬৪৯১৯৪৭৮৬৪০৭৭৫। তার টিন৩৫৯৮১৫৪৭২৫৫৭ কর সার্কেল-১৩, কর অঞ্চল রংপুর। তার স্ত্রী শাহানা খানমের জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৮৬৫৭ ৮৪ ৪৫০৫। তার টিন নং ৩৮৯৮ ০২ ৭৯ ৩৬ ২৩। কর সার্কেল- ০২, (কোম্পানী) কর অঞ্চল- রংপুর।

সূত্রে আরও জানা গেছে, আলী আফসার তার নিজ এলাকায় নামে বেনামে অটেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট বভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা‌ আলী আফসারের বিরুদ্ধে কোন তদন্ত বা কোন ব্যবস্থা নেইনি। সেই জন্য আলী আফসার দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরে পর বছর তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এখন তিনি অফিসে বসে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অপকর্মের চিত্র রয়েছে তা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আফসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য দিতে রাজি হননি। তার এই দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ বাদশা আলমগীরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি এখানে, তার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। তবে আপনাদের কাছে যা জানলাম সেই বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রংপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তো সেখানে নেই। আলী আফসারের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ রয়েছে তা আমি তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।

অভিযোগকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ও অঢেল সম্পদের মালিক উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আফসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। তাই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট আমার আকুল আবেদন দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক এবং আইনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা করা হোক ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মূখপত্র।। NBB

Acting Editor: Neamul Hassan Neaz

Mofussal Editor: Kamrul Hasan Rony

Office: +8809611584881, 01320950171

E-mail: newsnbb365@gmail.com

Translate »