সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আদম আলীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদ অর্জন ও গোপনের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে জানা গেছে, তিনি নিজের নামে ও বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, যার সুনির্দিষ্ট তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি সূত্র জানায়, আদম আলীর নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট এবং নামে বেনামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া, তার পরিবারের সদস্যদের নামেও উল্লেখযোগ্য সম্পদ রয়েছে, যা তাদের ঘোষিত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
অভিযোগের বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আদম আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরাও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দুদক সূত্র বলছে, আমরা আদম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শুরু হয়েছে। তার সম্পদের উৎস ও প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে তার ব্যাংক হিসাব, সম্পত্তির দলিল এবং অন্যান্য আর্থিক নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা সামরিক বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।