স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের গুলশান থানা অফিসের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যা সরকারি সেবার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম তার দাপ্তরিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাগরিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। তিনি বিভিন্ন সেবা, যেমন বয়স সংশোধন, দ্রুত স্মার্ট কার্ড প্রদান, একদিনে কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, গ্রাহকদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে অর্থ গ্রহণ করছেন। এই ধরনের কার্যকলাপের ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, টাকা দিলে দ্রুত সেবা পাওয়া যায়, যা সরকারি সেবার ন্যায্যতা ও সমতা নষ্ট করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা তাদের ঘোষিত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সম্পদের উৎস ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের দাবি রাখে।
শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি তার অপকর্ম ঢাকতে চেষ্টা করেছেন, যা নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিপন্থী।
এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শরিফুল ইসলাম এখনও তার পদে বহাল আছেন, যা প্রশাসনিক দুর্বলতার পরিচায়ক। সরকারি সেবার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং সেবার মান উন্নত করতে এই ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নির্বাচন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ জনসাধারণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের অনিয়ম রোধ করা যায়।
প্রথম পর্ব…