বরিশাল অফিস : বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীমোঃ মেহেদি ওরফে রিপনের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ ।
তার বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও নিয়মিত অফিস না করা এবং কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ নিত্যদিনের।ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রকৌশলী মেহেদী ওরফে রিপনের বাড়ি বরিশাল সদরের উলাল -বাটনা গ্রামে হলেও তিনি নগরীর কাউনিয়া এলাকায় তিনতলা ভবন নির্মান করেছেন জমি ক্রয় করে।এছাড়া কাগাসুরার নীলখোলা নামক জায়গাসহ বিভিন্নস্থানে জমি ক্রয় করেছেন। নামে বেনামে কোটি টাকার সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে তার।হঠাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ অস্বিকার করে মেহেদি বলেন,কাউনিয়ায় আমার পিতার সম্পদে ভবন করেছি এবং নীলখোলায় জমি ক্রয় করেছি।
প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী ওরফে রিপন চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।অনিয়ম-দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন তিনি। ফলে একজন প্রকৌশলী হয়ে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান তিনি।
উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত মালামাল ল্যাবরেটরী টেষ্টে পাঠালে সরকারি হিসাবের চাইতে অধিক টাকা দাবী করতেন মেহেদি। দাবীকৃত টাকা না দিলে করতেন না ল্যাবরেটরী টেষ্ট। এছাড়াও টেষ্টে পাঠানো মালামাল ফেরত আসার পর ঠিকাদারদের বুঝিয়ে না দিয়ে সেগুলো তিনি নিয়ে নিতেন।
তার দাপটে সাধারণ ঠিকাদার থেকে শুরু করে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত কেউ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস পেত না। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষমতাশালী নেতার মাধ্যমে দুর্নীতি করে অবৈধ ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন মেহেদি।তিনি শশুর,স্ত্রীসহ নামে বেনামে জমি ক্রয় ও তাদের ব্যাংক একাউন্টে রেখেছেন অর্থ। আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবেই দলীয় কোটায় চাকুরী নিয়েই দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অবৈধ পথে পা বাড়ান মেহেদী।তার পরিবারের লোকজনও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে তার এসব দুর্নীতির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান স্থানীয় সাধারণ জনগণ ।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী মেহেদি ওরফে রিপনের মোবাইলে কল করা হলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার আংশিক সত্য এবং কিছু তথ্য অসত্য। তার বক্তব্য মোবাইলে নেয়ার পর বিভিন্ন জনকে দিয়ে তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার তদবীর করেন।